ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে যদি আপনি আগে থেকে জেনে নেন তবে হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হলে আপনি তা দ্রুত নিরাময় করতে পারবেন। আজকে আমরা হঠাৎ ঘাড় ব্যথার কারণ কি?
ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ? ঘাড় ব্যথা হলে করণীয় কি? ঘাড়ের ব্যাথার ঔষধের নাম? ঘাড় ব্যথার জন্য ব্যায়াম গুলো কি কি তা নিয়ে আলোচনা করব। ঘাড় ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পেতে চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
ঘাড় ব্যথার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। ঘাড় ব্যথা বিভিন্ন রকমের হওয়ায় ঘাড় ব্যথার কারণ সম্পর্কে না জানলে ব্যথা কমানোর কোন উপায়টি কার্যকরী হবে তা বোঝা যাবে না।
১. ইনজুরি ঘাড় ব্যথার জন্য দায়ী থাকে বেশিরভাগ সময়। মাথার পেছনের অংশটি খুবই সেনসিটিভ জায়গা। সেখানে আঘাত পেলে ঘাড় ব্যথা হয়ে থাকে সাধারণত।
২. বেশি সংকুচিত হলে ঘাড়ে ব্যথা দেখা দেয়। হঠাৎ ভারী জিনিস বহন করা, সঠিকভাবে না শোয়া ও দীর্ঘক্ষণ ধরে একই স্থানে একই ভাবে বসে থাকার কারণে বেশি সংকুচিত হতে পারে।
৩. নার্ভের সমস্যা ঘাড় ব্যথার অন্যতম কারণ। খিদার হারে পরিবর্তন সহ নানা কারণে নার্ভে চাপ পড়লে ঘাড় ব্যথা করে।
৪. সঠিকভাবে ওঠাবসা না করার কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে এক ভাবে বসে থাকা বা মাথা নিচু করে ফোন চালানোর ফলে ব্যথা হতে পারে।
৫. আর্থ্রাইটিসের কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। বয়স্ক মানুষদের আর্থ্রাইটিস থাকে। ঘাড়ের হাড় গুলোর মাঝখানে আর্থ্রাইটিসের কারণে প্রায় সময় ব্যথা হতে দেখা যায়।
ঘাড় ব্যথার লক্ষণ দেখে আপনাকে বুঝতে হবে ঘাড় ব্যথা দূর করতে আপনার কি করা উচিত বা কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
ঘাড় ব্যথা হলে করণীয় কি তা জানা থাকলে নিজেকে দ্রুত ব্যথা মুক্ত করতে পারেন।
নড়াচড়া কমানো: অতিরিক্ত ঘাড় নাড়ানো যাবে না। শরীরে যাতে ঝাঁকি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গরম সেক: গরম সেক হতে পারে ব্যথা মুক্তির অন্যতম উপায়। তাপ দিলে সংকুচিত মাংসপেশি শিথিল হয়। এক্ষেত্রে হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন বা গোসলের সময় সহনীয় গরম পানি ঘাড়ে ঢালতে পারে।
ম্যাসাজ করা: যদি সাধারণ ঘাড় ব্যথা হয় তবে মাসাজ করতে পারেন। এতে টানটান হয়ে থাকা পেশি গুলো শিথিল হবে। তবে ঘাড় ম্যাসাজ করার সময় খুব সাবধান থাকতে হবে ধীরে ধীরে মালিশ করতে হবে না হলে ঘাড়ের পেশি গুলোর ক্ষতি হবে।
ঔষধ: সাধারণ ঘাড় ব্যথার ক্ষেত্রে নরমাল ব্যাথা নাশক ওষুধ খেতে পারেন। আর যদি ঘাড় ব্যথা ধরন ও মাত্রা অস্বাভাবিক হয় তবে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
ব্যায়াম: সাধারণ ঘাড় ব্যথার ক্ষেত্রে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। যা আপনাকে ব্যথা থেকে আরাম দেবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন
আপনি আপনার মাথা সামনে-পেছনে এবং পাশে-পাশে স্ট্রেচ করে দেখুন কিছুটা আরাম পাবেন। আপনি মাথাটা ঘড়ির কাটার মতো ঘুরিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন।
ঘাড় ব্যথা করলে কাঁধ উপরে তুলে ধরে রাখাটাও একটা কার্যকরী পদ্ধতি। এছাড়াও চিবুক বুকের দিকে টেনে নিয়ে আসার ব্যায়াম টি করে দেখতে পারেন।
ঘাড় ব্যথা হলে করণীয় হলো স্বাভাবিক হলে ব্যায়াম, মালিশ ও সাধারণ ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করা। আর যদি আঘাতে পাওয়ার কারণে তীব্র ব্যথা হয় বা আঘাত ছাড়াও তীব্র ব্যথা হয় ও ঘাড় ঘোরানো যায় না তখন অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।