চলছে শীতকাল! আর এই সময়ে ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। তবে সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন নিতে পারলে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চলুন তবে আর কথা না বাড়িয়ে ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিই।
ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করতে লিপ স্ক্রাব ব্যবহার করুন। ঠোঁট ফাটার কারণে আমাদের ঠোঁটের উপর শুষ্ক যে পাতলা চামড়া তৈরি হয় সেই চামড়া দূর করতে এই স্ক্রাব ব্যবহার করাটা বেশ জরুরি।
বাজার থেকে ভালো ব্যান্ডের লিপ স্ক্রাব বাছাই করতে ভুলবেন না। আর হ্যাঁ! যারা লিপ স্ক্রাব ব্যবহার করেন না তারা এর পরিবর্তে লিপ ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়মিত ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি লিপিড ত্বকের উপরের স্তরের ফাটল এবং পানির শূন্যতা দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সোজা বাংলায় নারকেল তেল ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যেকোনো সমস্যার জন্য যদি কোনো প্রাকৃতিক প্রতিকার খুঁজে থাকেন সেক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করেই মধু বেছে নিতে পারেন। মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য আপনার ফাটা ঠোঁটের ব্যাকটেরিয়া বা এর সংক্রমণ দূর করবে।
পাশাপাশি মধুকে হালকা-পাতলা এক্সফোলিয়েটর এবং সেইসাথে ময়শ্চারাইজার হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা মানেই ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসাবে সবচেয়ে ভালো অপশন বেছে নেওয়া। অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য।
পাশাপাশি অ্যালোভেরাতে থাকা এনজাইমগুলিতে হালকা এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। সুতরাং ফাটা ঠোঁটের সমস্যা তাড়াতে এই জেল ম্যাজিকের মতো কাজ করে থাকে।
ভিটামিন এবং হাইড্রেটিং এজেন্টের শক্তির সবচেয়ে ভালো উৎস হিসাবে কাজ করে এই শসা। ফাটা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে যত ধরণের খনিজ উপাদান দরকার সব ধরণের খনিজ উপাদান সরবরাহ করে থাকে এই শসা।
ঠোঁটে শসার ব্যবহার নিশ্চিত করতে এক টুকরো শসা ঠোঁটে দিনে ২ বার করে ঘষতে পারেন।
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে তো বিস্তারিত জানলেন। এবারে চলুন এমনকিছু ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করি যেসব উপায় ফলো করলেও আপনার ঠোঁট ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যাবে।
লিপ বাম: ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায় হিসাবে আপনাকে ভালো লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। বাজারে আপনি বিভিন্ন মেন্থল, কর্পূর, ফেনল এবং বিভিন্ন সুগন্ধ ফ্লেভারের লিপ বাম পাবেন। তবে আমরা সাজেস্ট করবো পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারের ব্যাপারে।
ধুমপান: ধুমপানও করেন! আবার ঠোঁট ফাটার সমস্যাও দূর করতে চান! এমনটা হলে কখনোই ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর করা যাবে না। মূলত তামাকের ধোঁয়া ঠোঁটের চারপাশে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি করে বসে। তাই ধুমপান এড়িয়ে চলুন।
পানি: শুধু শীতকালে কিংবা ঠোঁটের যত্নেই নয়! বরং সারা বছর শরীরকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। নিয়মিত ৮/৯/১০ গ্লাস পানি পান করুন।
ম্যাসেজ: যখন ঠোঁটে লিপবাম ব্যবহার করবেন তখন ঠোঁট ভালোভাবে স্ক্রাব করে নেবেন। যাতে লিপবাম ভালোভাবে ঠোঁটের সাথে মিশে যেতে পারে।
উপরোক্ত ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং গাইডলাইন ফলো করলে আশা করি ঠোঁট ফাটাজনিত সকল সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
টিপস ফলো করার পাশাপাশি পানি পান করতে না চাওয়া, ঠোঁট চাটা ভালো ব্র্যান্ডের লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা, অনেক বেশি লিপস্টিক ব্যবহার করা ইত্যাদি বদ অভ্যাসও এড়িয়ে চলতে হবে।