যদিও সাধারণ সর্দি-কাশির কোনো প্রতিকার নেই” তবে ঠান্ডা লাগলে করণীয় হিসাবে আপনি বেশকিছু টিপস ফলো করতে পারেন। বিশেষ করে:
আসলে ঠান্ডা লাগা মানেই আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রিচার্জ করার সময়। আর এই কাজটি করতে হবে বিশ্রাম নেওয়ার সাহায্যে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে ৮-১০ ঘন্টা ঘুমান, সবসময় ভারি ব্যায়াম থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
ভিটামিন সি নিয়মিত গ্রহণ করা মানেই ঠান্ডাজনিত সমস্যাকে একেবারে শূণ্যের গোড়ায় নিয়ে আসা। এক্ষেত্রে টক জাতীয় জিনিস যেমন আমলকি, মাল্টা ইত্যাদি খেতে পারেন।
ঠান্ডা লাগলে করণীয় হিসাবে লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন। এই কাজটি দিনে ২/৩ বার করার চেষ্টা করুন। তবে যাদের প্রেশারের সমস্যা আছে তাদের এই টিপসটি ব্যবহার না করাটাই উত্তম।
ঠান্ডা লাগলে ডিকনজেস্ট্যান্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন এবং ব্যথা উপশমকারী ঔষধ ব্যবহার করাটা জরুরি। তবে ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই ধরণের ঔষধে অভ্যস্ত না করাটাই শ্রেয়। আর যাদের বাড়তি সমস্যা আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ঔষধ সেবন করবেন না।
নিজেকে ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে বাতাসকে যতটা সম্ভব আর্দ্র করুন। কারণ ঠান্ডা বাতাস উষ্ণ বাতাসের চেয়ে কম আর্দ্রতা ধরে রাখে। এক্ষেত্রে পানি সিদ্ধ করতে করতে ধীরে ধীরে ঘরকে আর্দ্র করে তোলার চেষ্টা করতে পারেন।
ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে তো জানলেন! এবারে জেনে রাখা উচিত ঠান্ডা লাগলে বর্জনীয়গুলি কি কি হতে পারে সে-সম্পর্কে। এ-সময় যেসব অভ্যাসকে পুরোপুরি না বলতে হবে:
অনেকেই অসুস্থ থাকলেও সুস্থতার ভান করে থাকেন। বিশ্বাস করুন এটি কখনই কাজ করে না। উল্টো অসুস্থ হলে নিজের যত্ন নিতে হবে, টাইমলি ঔষধ নিতে হবে। সেই সাথে শরীরের অতিরিক্ত শক্তি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার-দাবারে ফোকাস করতে হবে।
মনে রাখবেন, একটি সুস্থ ইমিউন সিস্টেম, জীবাণুর বিরুদ্ধে আপনার শরীরের প্রতিরক্ষার জন্যই যথেষ্ট! তাছাড়া একটি সমীক্ষা অনুযায়ী রাতে ৭ ঘন্টার কম ঘুমালে আপনার সর্দিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় তিনগুণ বেড়ে যাবে। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম নিশ্চিত করুন।
আপনি অসুস্থ হলে আপনার দেহের প্রচুর হাইড্রেশন নিশ্চিত করতে হবে। এই বিশেষ সময়টাতে আপনাকে অবশ্যই জুস, গরম চা এবং স্যুপ খেতে হবে।
নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সবসময ঠান্ডা লাগলে করণীয় টিপস ফলো করার পাশাপাশি এর বর্জনীয় টিপস সম্পর্কেও সচেতন থাকুন। পাশাপাশি অসুস্থ না হলেও ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং সুস্থ থাকুন।