বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসজনিত কারণে যারা ইতিমধ্যেই জ্বর সর্দি কাশির সমস্যা বুদ হয়ে আছেন তাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর সর্দি কাশির ঔষধ সেবন করা। তবে যদি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করাটা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে বেশকিছু কমন ঔষধের যেকোনো একটি সেবন করতে পারেন। চলুন এ-সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা যাক।
শরীরের তাপমাত্রা যখন মারাত্মকভাবে বেড়ে যায় তখন জ্বর দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে কারণ হিসাবে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগিয়ে রাখা, ইনজেকশন নেওয়াসহ বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্তকে ধরা যেতে পারে। আর শরীরে ইমিউনিটি কমে গেলে দেখা দিতে পারে সর্দি। অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ হিসাবে কাশির ব্যাপারে তো আমরা সকলেই জানি।
জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম তো জানলেন! এবারে চলুন এমনকিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানি যেসব উপায় আপনার জ্বর সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
মধুতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে তা ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে লেবুর সাথে চায়ে মধু মিশিয়ে তা পান করতে পারেন।
ঠান্ডাজনিত সমস্যার পাশাপাশি এই মধু গলা ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তবে অসুস্থতা কমাতে কোনোভাবেই ১২ মাসের কম বয়সী বাচ্চাকে মধু দেওয়া যাবে না।
রসুনে অ্যালিসিন নামক যৌগ থাকার কারণে ধরা হয়ে থাকে এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যারা অতিরিক্ত ঠান্ডার উপসর্গের তীব্রতা কমাতে চান তারা নির্দ্বিধায় রসুনকে খাদ্যতালিকাতে রাখতে পারেন৷
শরীরের ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করুন। জ্বর সর্দি কাশির সমস্যা দেখা দিলে আমরা সাধারণত কিছুই খেতে পারি না, আমাদের রুচিতে সমস্যা হয়।
এক্ষেত্রে ভিটামিন সি গ্রহণ করে ভালোই ফল পাওয়া যেতে পারে। সবুজ শাক, লেবু, পেয়ারা, আমলকিসহ বিভিন্ন সহজলভ্য ফলমূল এবং সবজিতে এই ভিটামিন সি পেয়ে যাবেন।
জ্বর সর্দি কাশি হলে অনেক সময় আমাদের গলা ব্যাথা করে, কোনোকিছু খেতে গেলেই গলায় আটকে যায়। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই গার্গল করার অভ্যাসটি।
কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে ২/৩ বার গার্গেল করতে পারেন৷ গলা ব্যাথা সারিয়ে তোলার পাশাপাশি এই অভ্যাসটি আপনাকে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন কেবল জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম শুনেই তা কিনে সেবন করে ফেলা যাবে না। প্রতিটি ঔষধেই কিন্তু ড্রাগস থাকে। রোগীর বয়স কত, কতটুকু ড্রাগস নিতে পারবে এবং ঔষধে কি কি উপাদান রয়েছে সবকিছু বিবেচনা করে তবেই জ্বর সর্দি কাশির ঔষধ সেবন করতে হবে। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় প্রথমবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী পরবর্তীতে তা সেবন করতে থাকা।