অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানে না এমন কোনো ব্যাক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুবিধার পাশাপাশি বেশকিছু অসুবিধা, অর্থ উপার্জনের দারুণ সুযোগসহ অনেককিছু সম্পর্কেই আলোচনা করবার রয়েছে এই টপিকে। চলুন অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
অনলাইন মার্কেটিং বলতে সেই মাধ্যমকে বোঝানো হয়ে থাকে যে মাধ্যমটি একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড, পণ্য বা সার্ভিস অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে।
এই ধরণের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ওয়েব-ভিত্তিক চ্যানেলগুলিকে ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া এই ধরণের মার্কেটিং মানেই অফলাইন মার্কেটিংয়ের বিপরিতরূপ।
সোশ্যাল মিডিয়া, অ্যাড, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) এবং আরও অনেক মাধ্যম ব্যবহার করে এই অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজ পরিচালিত হয়ে থাকে। সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই থাকার কারণে আমাদের উচিত এর সঠিক ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে যথাসম্ভব নিশ্চিত করা।
অনলাইন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি প্ল্যাটফর্ম। আর এই প্ল্যাটফর্মটিকে হতে হবে যথেষ্ট রিচ, জনপ্রিয় এবং টার্গেটেড অডিয়েন্সে ঠাসা। চলুন তবে আর্টিকেলের এই অংশে বেশকিছু অনলাইন মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে আলোচনা করি।
ইউনিক পেইজ খুলে সহজেই ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন। তাছাড়া বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তাছাড়া চাইলে টেকনিক্যালি ওয়েবসাইটের সম্ভাব্য ভিজিটরও এনে ফেলা যায় এই ফেসবুক ভিজিটরের মাধ্যমে।
যাইহোক! অনলাইন মার্কেটিং করতে একটি ফেইসবুক পেইজ খুলুন, প্রোফাইল সেট-আপ করুন এবং পোস্ট করতেই থাকুন। আশা করি তুমুল মার্কেট পাবেন।
বিশেষ করে ক্যারিয়ার রিলেটেড সার্ভিস বা প্রোডাক্ট নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে লিংকডিন ব্যবহার করতে পারেন। এখানে প্রায় প্রায় ২৬ কোটি ব্যবহারকারী।
যারা কিনা বিশেষ করে ক্যারিয়ার সেট-আপমুখী থাকতেই এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। সুতরাং যেকোনো ধরণের কোর্স বা সার্ভিস সেল করতে চোখ বন্ধ করে লিংকডিন ব্যবহার করতে পারেন।
বিদেশি মার্কেট পেতে সাধারণত মার্কেটারেরা এই পিন্টারেস্ট ব্যবহার করে থাকে। পণ্য ও সেবার অনলাইন মার্কেটিং করতে এখানে আপনাকে একটি বিজনেস প্রোফাইল ওপেন করতে হবে।
মার্কেট ভ্যালু বাড়াতে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া লিংকও এড করা যেতে পারে। এতে করে সহজেই বাড়তি ভিজিটর আশা করতে পারেন।
অনলাইন মার্কেটিং কিন্তু চাকরির বাজারে অনেক দুয়ার খুলে দিয়েছে। আপনি চাইলে সহজেই এই মার্কেটিংয়ের যেকোনো একটি পার্টে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। হতে পারেন:
ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টার্ন: ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টার্নরা অনলাইন এড কোম্পানির সাথে কাজ করে থাকে। এই ধরণের মার্কেটাররা যে কোম্পানির জন্য কাজ করে তার উপর নির্ভর করে মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস ডিজাইন করে।
ফটোগ্রাফার: ফটোগ্রাফাররা ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রোডাক্টের প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি করে আর্নিং করতে পারে। সাধারণত ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপন এবং সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সেক্টরে এসব ফটোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট: অনলাইন মার্কেটিংয়ের বিশাল একটি প্ল্যাটফর্ম দখল করে আছে সোশ্যাল মিডিয়া। সুতরাং এই সেক্টরকে কাজে লাগাতে একজন সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট নিয়োগের প্রয়োজন পড়ে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার: গ্রাফিক ডিজাইনাররা টেক্সট, রং, ইলাস্ট্রেশন এবং ইমেজের সমন্বয়ে মার্কেটিং ডিজাইন তৈরি করে। প্রোডাক্টকে ঘিরে তৈরি করা এসব ডিজাইন অডিয়েন্স তৈরিতে এবং সেল বাড়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
আপনি যদি ফ্রিতে অনলাইন মার্কেটিং কোর্স করতে চান সেক্ষেত্রে ই-শিখনের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ইউটিউব বা গুগলে অসংখ্য ফ্রি রিসোর্স পেয়ে যাবেন এবং অনলাইন মার্কেটিং শেখার উপর।