ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম

 

অনলাইনে কেনাকাটা রিলেটেড কাজ বা যে-কোনো পেমেন্ট পে করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন একটি মাধ্যম যা আপনাকে ঘরে বসে ইন্টারন্যাশনালি পে করতে সাহায্য করবে। তেমনই একটি মাধ্যম হলো এই ভিসা কার্ড। আসুন আজ এই ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 

 

ভিসা কার্ড কি? 

সোজা কথায়  ভিসা কার্ড হলো এমন একটি পেমেন্ট কার্ড যা আপনি অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। ভিসা কার্ডের এই যাত্রা মূলত ক্রেডিট কার্ড দিয়ে শুরু হয়েছিলো। পরে ডেবিট, প্রিপেইড এবং ভিসাতে রূপান্তরিত হয়। 

 

ভিসা কার্ডে থাকা ১৬ ডিজিটের নাম্বারের সাহায্যে লেনদেন করে থাকে গ্রাহকেরা। আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহার করা হয় পিন কোড এবং কার্ডধারকের স্বাক্ষর। 

 

ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ভিসা কার্ড পেতে আপনাকে কোনো অক্সফোর্ড ডিগ্রিধারী হতে হবে না। তবে যাদের কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই তারা এই ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। 

 

এমনকি তৈরি করিয়েও নিতে পারবেন না। ব্যাংক একাউন্ট ছাড়া এই ভিসা কার্ড পাওয়ার পথে আর কোনো বাধা কাজ করবে না। 

 

ভিসা কার্ড করতে কি কি লাগে?

ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ভিসা কার্ড পেতে হলে আপনাকে কি কি ডকুমেন্টস নিশ্চিত করতে হবে: 

  • ভিসা কার্ড সুবিধা প্রদানকারী নিকটস্থ ব্যাংক কতৃপক্ষ
  • গ্রাহকের সাধারণ বা যেকোনো ক্যাটাগরির ব্যাংক একাউন্ট 
  • ব্যাংক একাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফাটোকপি
  • আবেদনকারীর ২ কপি রঙিন এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • যাদের পূর্বে কোন ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে তাদের সেই একাউন্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র
  • ব্যাংক একাউন্টের ক্ষেত্রে নমিনি আইডি কার্ড ও ফটোকপি

 

ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম

ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম হিসাবে নিচের স্টেপগুলি ফলো করুন: 

  • যে ব্যাংকে আপনার একাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাংকে যান
  • যদি কোনো একাউন্ট না থাকে উপরোক্ত ডকুমেন্টসসহ একাউন্ট তৈরি করে নিন
  • এবার সেই একাউন্ট রিলেটেড গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাথে নিন
  • যাদের আগে থেকেই একাউন্ট খোলা আছে তারা উক্ত একাউন্ট রিলেটেড কাগজপত্র সাথে নিন
  • সবশেষে জমা দিন আপনার নমিনির ছবি এবং সেই নমিনির আইডি কার্ডের ফটোকপি 

 

ভিসা কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

ভিসা কার্ড করতে প্রতিটি ব্যাংকই একই পরিমাণ অর্থ চার্জ করে না। তবে ৩০০ টাকার আশেপাশে লাগতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই তাদের তুলনামূলকভাবে বেশি চার্জ প্রদানের প্রয়োজন পড়ে। বাদবাকিদের চার্জ ৩০০ টাকার কম হলেই হবে। 

 

ভিসা কার্ড টু বিকাশ 

ভিসা কার্ডের টাকা আপনি চাইলে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। চাইলে ইজিলি ভিসা কার্ডের টাকা বিকাশে নিয়ে আসতে পারবেন নিচের সহজ স্টেপগুলি ফলো করে: 

  • বিকাশ এপ্লিকেশন ডাউনলোড করে নিন
  • বিকাশে নিজের একাউন্ট না থাকলে নিজের একাউন্ট ওপেন করে নিন
  • ড্যাশবোর্ডে গিয়ে বিকাশ একাউন্টের হোম স্ক্রিনে এড মানি অপশনে ক্লিক করুন
  • কার্ড টু বিকাশ মেনুবার থেকে কার্ড অপশন সিলেক্ট করে ভিসা কার্ড সিলেক্ট করুন
  • যে একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান সে একাউন্টের নাম্বারটি দিন
  • এবারে সিকিউরিটি পারপাস ভিসা কার্ডের নম্বর, ভিসা কার্ডের মেয়াদ এবং ভিসা কার্ডের ভেরিফিকেশন নম্বর দিন
  • সবশেষে পাঠানো ওটিপি ব্যবহার করে লেনদেন সম্পন্ন করুন 

 

আশা করি ভিসা কার্ড পরিচিতি, ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম, ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়মসহ যাবতীয় সকল তথ্য সহজভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। তবুও যদি কারো কোনো প্রশ্ন থাকে তা সরাসরি কমেন্ট বক্সেে জানাতে পারেন। 

 

আর হ্যাঁ! মনে রাখবেন, ভিসা কার্ড এবং মাস্টার কার্ড কিন্তু কখনোই এক নয়। অনেকেই দু’টো পেমেন্ট সিস্টেমকেই একই মনে করেন। অথচ দু’টো তৈরির নিয়ম এবং ব্যবহারের নিয়ম সম্পূর্ণই আলাদা। 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ