অনলাইনে কেনাকাটা রিলেটেড কাজ বা যে-কোনো পেমেন্ট পে করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন একটি মাধ্যম যা আপনাকে ঘরে বসে ইন্টারন্যাশনালি পে করতে সাহায্য করবে। তেমনই একটি মাধ্যম হলো এই ভিসা কার্ড। আসুন আজ এই ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সোজা কথায় ভিসা কার্ড হলো এমন একটি পেমেন্ট কার্ড যা আপনি অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। ভিসা কার্ডের এই যাত্রা মূলত ক্রেডিট কার্ড দিয়ে শুরু হয়েছিলো। পরে ডেবিট, প্রিপেইড এবং ভিসাতে রূপান্তরিত হয়।
ভিসা কার্ডে থাকা ১৬ ডিজিটের নাম্বারের সাহায্যে লেনদেন করে থাকে গ্রাহকেরা। আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহার করা হয় পিন কোড এবং কার্ডধারকের স্বাক্ষর।
ভিসা কার্ড পেতে আপনাকে কোনো অক্সফোর্ড ডিগ্রিধারী হতে হবে না। তবে যাদের কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই তারা এই ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না।
এমনকি তৈরি করিয়েও নিতে পারবেন না। ব্যাংক একাউন্ট ছাড়া এই ভিসা কার্ড পাওয়ার পথে আর কোনো বাধা কাজ করবে না।
ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ভিসা কার্ড পেতে হলে আপনাকে কি কি ডকুমেন্টস নিশ্চিত করতে হবে:
ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম হিসাবে নিচের স্টেপগুলি ফলো করুন:
ভিসা কার্ড করতে প্রতিটি ব্যাংকই একই পরিমাণ অর্থ চার্জ করে না। তবে ৩০০ টাকার আশেপাশে লাগতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই তাদের তুলনামূলকভাবে বেশি চার্জ প্রদানের প্রয়োজন পড়ে। বাদবাকিদের চার্জ ৩০০ টাকার কম হলেই হবে।
ভিসা কার্ডের টাকা আপনি চাইলে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। চাইলে ইজিলি ভিসা কার্ডের টাকা বিকাশে নিয়ে আসতে পারবেন নিচের সহজ স্টেপগুলি ফলো করে:
আশা করি ভিসা কার্ড পরিচিতি, ভিসা কার্ড তৈরি করার নিয়ম, ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়মসহ যাবতীয় সকল তথ্য সহজভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। তবুও যদি কারো কোনো প্রশ্ন থাকে তা সরাসরি কমেন্ট বক্সেে জানাতে পারেন।
আর হ্যাঁ! মনে রাখবেন, ভিসা কার্ড এবং মাস্টার কার্ড কিন্তু কখনোই এক নয়। অনেকেই দু’টো পেমেন্ট সিস্টেমকেই একই মনে করেন। অথচ দু’টো তৈরির নিয়ম এবং ব্যবহারের নিয়ম সম্পূর্ণই আলাদা।