শিক্ষা ক্ষেত্র, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, বিনোদন সবকিছুর জন্যই আজকাল দরকার পিসি বা ল্যাপটপ। আর তুলনা করলে ল্যাপটপের চাইতে পিসির গুরুত্বই সবচেয়ে বেশি। বলা হয়ে থাকে শখের তোলা আশি টাকা।
কিন্তু এই শখের পিসি বানাতে আপনাকে ওত টাকা খরচ করতে হবে না। লিমিটেড বাজেটেই তৈরি করে নিতে পারবেন শখের পিসি। তবে তার আগে জানতে হবে পিসি বানাতে কি কি লাগে এবং পিসি বানানোর খরচ কত সে-সম্পর্কে।
সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটসহ পিসি বানাতে আপনাকে বেশকিছু ডিভাইস এবং যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতে হবে। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পিসি বানাতে কি কি লাগে সে-সম্পর্কে জেনে নিই।
পিসি বলুন বা ল্যাপটপ! যেকোনো ডিভাইসেই দরকার এই মাদারবোর্ড। যেকোনো পিসিতে মাদারবোর্ড প্রধান সার্কিট বোর্ড হিসাবে কাজ করে। এই মেশিনটি আপনাকে নিরাপদ, দ্রুত এবং সঠিকভাবে কম্পিউটারে কাজ করতে শতভাগ সাহায্য করবে।
মাদারবোর্ড নিশ্চিত করার পর আপনাকে কিনতে হবে একটি প্রসেসর। প্রসেসর না থাকলে কাজের গতি এবং স্বচ্ছতা উন্নয়নে কম্পিউটার ভালো পারফরম্যান্স করবে না। ব্যবহারের ধরণ এবং বাজেট বিবেচনা করে আপনাকে এই প্রসেসর কিনে নিতে হবে।
পিসিতে ডাটা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য আপনার দরকার পড়বে একটি ভালো হার্ডডিস্ক। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরির হার্ডডিস্কের মাঝে এসএসডি কিংবা এইচডিডি হার্ডডিস্ক কিনে নিতে পারেন। এতে পিসিতে ডাটা রিড রাইট, ডাটা ট্রান্সফার স্পীড কম হওয়ার চান্স টোটালি থাকবে না।
কেসিং হচ্ছে মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি একসাথে সাজিয়ে রাখার মতো প্লেইস। এই কেসিং আপনাকে পিসির জন্য বায়ু প্রবাহের ব্যবস্থা করে দেবে। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পিসি তৈরিতে ভালো কেসিং কিনতে ভালো কোনো কম্পিউটার জানা লোককে সাথে করে মার্কেটে যেতে পারেন।
যারা পিসিতে ছবি এবং ভিডিও নিয়ে কাজ করতে চান তাদের এই গ্রাফিক্স কার্ড লাগবেই লাগবে। যদিও সব পিসিতে এই গ্রাফিক্স কার্ড লাগে না। কাজের ধরণের উপর নির্ভর আপনাকে এটি কিনতে হবে। বিশেষ করে গেমিং কিংবা এডিটিং এর মত কাজের জন্য পিসিতে অবশ্যই গ্রাফিক্স কার্ড এড করতে হবে।
কারেন্ট না থাকলে অল্টারনেটিভ কারেন্ট পাওয়ারকে ডিরেক্ট কারেন্ট পাওয়ার হিসাবে পিসিতে ব্যবহার করতে এটি লাগবে। মাদারবোর্ড, সিপিইউ, গ্রাফিক্স কার্ড, স্টোরেজ ড্রাইভ এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতিতে এই পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজনীয় পাওয়ার দেবে। ফলে আপনি আপনার পিসি স্মুথলি এবং নিরাপদে চালাতে পারবেন।
এবার আসি পিসি বানাতে কত টাকা লাগে বা বাজেট কত হতে হয় সে ব্যাপারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই পিসি কি কাজে ব্যবহার করবেন তা যাচাই করে নেবেন। সে অনুযায়ী বাজেট করবেন।
আপনি চাইলে সাধারণ ইউজের জন্য ৪০ হাজার বা কিছু কমের মধ্যে পিসি বিল্ড করতে পারবেন। এই বাজেটে কিন্তু আপনি মাউস, কিবোর্ড, ২৪ ইঞ্চি মনিটরও পেয়ে যাবেন।
পাশাপাশি যারা অনলাইন ক্লাসের জন্য পিসি চাচ্ছেন তারা ৭ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পিসি বিল্ড করিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড প্রোডাক্ট ট্রাই করুন। অন্যদিকে অফিসিয়াল কাজ করার জন্য পিসি কিনতে হলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বাজেট করতে পারেন।
এই বাজেটে আপনি কোর আই-৫ জেনারেশনের পিসি নিতে পারেন। কেসিং, মাউস, কী-বোর্ড ইত্যাদিও পেয়ে যাবেন এই বাজেটের ভেতর।
আশা করি পিসি বানাতে কি কি লাগে এবং পিসি বানানোর খরচ কত তা নিয়ে কিছুটা আইডিয়া হয়েছে। বাকিটা প্রোডাক্টের ধরণ এবং আপনার দামাদামির উপর নির্ভর করবে। মনে রাখবেন সেকেন্ড হ্যান্ড প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই প্রি অনার কি কি কাজে পিসিটি ব্যবহার করেছেন তা জেনে নেবেন। সাথে জেনে নেবেন এই পিসি কত বছর ব্যবহার করা হয়েছে এবং সকল ডিভাইস ঠিকঠাক আছে কিনা সেটিও চেক করিয়ে নেবেন।