টাকা ইনকামের বয়স হয়ে গেছে। অথচ বুঝতে পারছেন না, কোন ধরণের চাকরি শুরু করবেন। এমন পরিস্থিতিতে আবার মনে হচ্ছে দেশের ইনকাম দিয়ে কিছুই হবে না। আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে পার্ফেক্ট গাইডলাইন। সব মিলিয়ে মানসিকভাবে আপনি চরম বিপর্যস্ত।
এমন পরিস্থিতিতে আপনার দরকার পার্ফেক্ট গাইডলাইন। আর এক্ষেত্রে আপনাকে হেল্প করবে আমাদের আজকের এই কাজের জন্য কোন দেশ ভালো রিলেটেড সম্পূর্ণ গাইডলাইনটি। বিস্তারিত জানতে সাথেই থাকুন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কোলাহলপূর্ণ মহানগরী থেকে ইউনাইটেড কিংডম এবং অস্ট্রেলিয়ার কসমোপলিটান হাব পর্যন্ত এমন অনেক প্লেইস আছে যেখানে চাকরির বাজার সবসময়ই রমরমা থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশীদের সুযোগ থাকে দ্রুত চাকরি পাওয়া। তেমনই কিছু কাজ পাওয়ার দেশ হলো:
শ্রম আইনে সাম্প্রতিক পরিবর্তন সত্ত্বেও, সৌদি আরবে এখনও শ্রমিকের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জন্যে এই দেশটি হতে পারে পার্ফেক্ট প্লেইস।
যেখানে থাকছে স্বাস্থ্যসেবা, বাসা তৈরি এবং আতিথেয়তার মতো সেক্টরে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ। বিশেষ করে রিয়াদ, জেদ্দা এবং দাম্মামের মতো শহরে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা এখন দেখার মতো।
বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য মালয়েশিয়াতে সবমসময় উন্নয়নমূলক কাজ চলতেই থাকে। যার কারণে মালয়েশিয়া প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিল্পকারখানার মতো সেক্টরে এখন প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে কুয়ালালামপুর, পেনাং এবং জোহর বাহরুর মতো শহরে এখনো অনেক বাংলাদেশি ভাইবোন কাজ করছে এবং ইনকাম করছে প্রচুর অর্থ। আপনিও চাইলে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।
তেল ও গ্যাস, নির্মাণ এবং এসম্পর্কিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের কারণে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কাতার।
এসব কারণে এবং প্রচুর কাজ দ্রুত শেষ করার তাড়ায় কাতার বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের কাজে লাগানোর প্রতি বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজধানী শহর দোহায় নির্মাণ, প্রকৌশল এবং অন্যান্য সেক্টরে কাজের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কেন্দ্রের মূল অংশ হিসাবে সিঙ্গাপুরের অবস্থান একেবারে প্রথম কাতারে৷ যেখানে বর্তমানে কাজ করছে প্রায় সারা বিশ্বের দক্ষ কর্মীরা। এমনকি বাংলাদেশী অনেকেও ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুরের ফিনান্স, আইটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং লজিস্টিকসের মতো সেক্টরে চাকরির সুযোগ পেয়ে ভালো বেতনে কাজ করছে।
কারণ সিঙ্গাপুর একটি প্রাণবন্ত বহুসাংস্কৃতিক পরিবেশবান্ধব প্লেইস। যেখানে একদিকে যেমন ভালো বেতনের কাজ পাওয়া যাচ্ছে অন্যদিকে ঠিক তেমনই ভালো পরিবেশে কাজ করতে পেরে কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে অনেকেরই।
অর্থ, পর্যটন এবং নির্মাণের মতো ক্রমবর্ধমান সেক্টরে কাজ করতে অসংখ্য শ্রমিক প্রয়োজন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
বিশেষ করে দুবাই এবং আবু ধাবিতে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিনান্সের মত সেক্টরে নিয়মিত অনেক লোক হায়ার করা হয়। আপনিও চাইলে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।
প্রবাসীদের জন্য কোন দেশ ভালো তা নির্ভর করবে প্রবাসীর আগ্রহ, স্কিল এবং ইচ্ছার উপর। ব্যক্তিগত পছন্দ, ক্যারিয়ার লক্ষ্য, সম্প্রতির স্থিতি, এবং অন্যান্য বিষয় নির্বাচন করে প্রবাসী হিসাবে নিচে উল্লেখিত দেশগুলির যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন:
কানাডা: আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবাসীদের খুবই প্রিয় একটি দেশ কানাডা। যেখানে মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের, প্রফেশনালদের, এবং ব্যবসায়ীদের কাজের কোনো অভাব নেই।
অস্ট্রেলিয়া: উচ্চ জীবনমানের পাশাপাশি যারা অর্থনীতি এবং বিভিন্ন শিক্ষাগত সুযোগ লাভ করতে চান তারা প্রবাসজীবন কাটাতে পারেন অস্ট্রেলিয়াতে।
জাপান: প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের প্রগতিশীল ফিল্ডে প্রবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় দেশ হিসাবে জাপানের কথা না বললেই নয়।
নরওয়ে: জাপানের পাশাপাশির তথ্য প্রযুক্তির জন্য নরওয়েও প্রবাসীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় দেশ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
সিঙ্গাপুর: আর্থিক হাব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন ভালো ভালো বেতনের জবের কারণে সিঙ্গাপুর প্রবাসীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
নিউজিল্যান্ড: শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং ভালো পরিবেশ পেতে প্রবাসজীবনের অংশ হিসাবে বেছে নিতে পারেন নিউজিল্যান্ড।
আসলে সবচেয়ে বেশি বেতন কোন দেশে তা জানার চাইতে আপনার স্কিলের দাম কত, আপনার প্রফেশনের দাম কত এবং আপনার কোম্পানি কত বেতন দেবে তা জানা জরুরি। তবে সম্প্রতি, চীন, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, এবং নরওয়েতে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া যায়।