কানাডা হলো পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ব-মানের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্নিগ্ধ পরিবেশ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মিলনমেলা। চলুন কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় এবং গাইডলাইন দু’টো নিয়েই আজ আলোচনা করা যাক।
সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন
শুরুতে চলুন কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিই। এতে করে স্কলারশিপ গ্রহণ এবং ক্যারিয়ারের ভুত ভালোভাবেই ঘাঁড়ে চেপে যাবে। কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার বিশেষ কিছু সুবিধা হলো:
১. কানাডার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আপনাকে দেবে উচ্চ-মানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। যার সাথে বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মানে হালকাপাতলা হলেও তফাৎ লক্ষ্য করা যাবে।
২. কানাডার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, কঠোর পড়াশোনার মান এবং উচ্চ মানের অনুষদের জন্যে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে।
৩. এখানকার ছোট লিবারেল আর্ট কলেজ থেকে শুরু করে বড় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অর্থ্যাৎ এখানকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কলারশিপ অফার করে থাকে।
৪. একাডেমিক লক্ষ্য এবং আগ্রহের জন্য আদর্শ প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলি একাই একশো।
৫. কানাডা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে আর্নিং করার সুযোগ করে দেয়। যা যেকোনো শিক্ষার্থীকে স্কিল ডেভলপমেন্টসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করে থাকে।
শুরুতে হয়তো বিদেশে নিজের পড়াশোনার পরিকল্পনা করা একটি কঠিন কাজ মনে হতে পারে। কিন্তু কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সঠিক টেকনিক জানলে পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। এক্ষেত্রে স্কলারশিপ গ্রহণের পূর্বেই কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখতে হবে।
মূলত প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং পোস্ট-সেকেন্ডারি এই ৩ টি সেক্টরে কানাডার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। কানাডায় মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, কমিউনিটি কলেজ, ক্যারিয়ার এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করতে নিচের পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করুন:
বিশ্ববিদ্যালয়: কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এবং প্রফেশনাল ডিগ্রি, সেইসাথে সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমার আয়োজন করে থাকে।
কমিউনিটি কলেজ: এই সেক্টরে সহযোগী এবং স্নাতক ডিগ্রি, স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা, সেইসাথে সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমার আন্ডারে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ লাভ করে থাকে।
কর্মজীবন সম্পর্কিত এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান: কারিগরি প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমা পেতে আগ্রহীদের জন্যে রয়েছে এই সেক্টরটি।
কানাডার বেশিরভাগ স্কলারশিপই আপনি পাবেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আন্ডারে থাকা বিভিন্ন ডিগ্রির উপর। কানাডার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বছর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় এবং এপ্রিল বা মে মাসে তা শেষ হয়।
আর প্রতিটি ডিগ্রিতেই মোটামুটি ২ টি সেমিস্টার থাকে। যা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক কম। যদিও এখানকার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ৩য় সেমিস্টারের প্রোগ্রামও অফার করে থাকে।
এক্ষেত্রে স্টুডেন্টরা সাধারণত ১ম বা গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টারের জন্য সেপ্টেম্বরে এবং শীতকালীন সেমিস্টারের জন্য জানুয়ারিতে তাদের পড়াশোনা শুরু করে থাকে।
শুরুতেই বলে রাখি কানাডায় ১০০ টিরও বেশি পাবলিক এবং প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। যা বাছাই করার সময় অবস্থান, আকার এবং প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানা জরুরি। সেই সাথে জানা জরুরি কোন বিষয়ের প্রতি আপনার আগ্রহ আছে এবং কোন বিষয় নিয়ে আপনি সামনে আগাতে চান।
আন্তজার্তিক স্টুডেন্টদের জন্য বা যারা বাইরের দেশ থেকে স্কলারশিপ পেয়ে কানাডায় পড়াশোনা করতে চায় তাদের জন্য মূলত কানাডার কয়েকটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং স্টুডেন্টদের সহায়তা করার ধরণ পুরোটাই আলাদা এবং প্রশংসার যোগ্য। এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হলো টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
চলুন এবারে কানাডিয়ান ডিগ্রি সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া নেওয়া যাক এবং সেই সাথে জেনে নেওয়া যাক এসম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি।
ব্যাচেলর ডিগ্রি: সাধারণত ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগে এই ব্যাচেলার ডিগ্রি সম্পূর্ণ হতে। আর কমিউনিটি কলেজ প্রোগ্রামগুলির তুলনায় সাধারণ ক্যাম্পাসে এই ডিগ্রি বেশ তাত্ত্বিকভাবে পড়ানো হয়।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি: এদিকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূর্ণ হতে ১ থেকে ২ বছর সময় লাগতে পারে। প্রতিটি স্টুডেন্টকে কিন্তু প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে, একটি গবেষণা থিসিসও সম্পূর্ণ করতে হয়।
পিএইচ.ডি.: পিএইচডির আন্ডারে কিন্তু বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে। যা সম্পূর্ণ হতে ৪ থেকে ৮ বছর সময় লাগতে পারে। সেই সাথে এই ধরণের প্রোগ্রামে প্রায়শই কোর্সের কাজ এবং একটি গবেষণামূলক কাজ সম্পূর্ণ করতে হয়।
বাইরের দেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য, আগ্রহ এবং শক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন কোনো প্রোগ্রাম এক্ষেত্রে আপনাকে বাছাই করতে হবে।
তবে যারা কানাডাতে সেটেল হতে চান এবং প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে কম ঝামেলায় বাড়তি সুবিধা উপভোগ করতে চান তাদের উচিত হবে ব্যবসা, জনস্বাস্থ্য এবং কৃষি বিজ্ঞানের মতো প্রোগ্রামগুলি নিয়ে পড়াশোনার চেষ্টা করা।
মনে রাখবেন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলির বিভিন্ন সময়কাল থাকে। সেই সাথে থাকে বিভিন্ন কাজের চাপ। সুতরাং পড়াশোনা, কাজের চাপ এবং ক্যারিয়ারের সাথে নিজের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে প্রোগ্রাম বেছে নিতে হবে এবং সময় নিয়ে পছন্দের প্রোগ্রাম সেট করে নিতে হবে।
এবার আমি খরচের ব্যাপারে। কানাডায় টিউশন ফি ব্যাপকভাবে নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং আপনি ঠিক কোন প্রোগ্রামটির সাথে জড়িত আছেন তার উপর।
পাশাপাশি এটিও জানিয়ে রাখা উচিতে যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বা যারা স্কলারশিপ নিয়ে যাবে তাদের জন্য কিন্তু টিউশন ফি কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি।
মূলত স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য সাধারণত বছরে ১৬,৩০,০০০ টাকা এবং ২৪,৪৫,০০০ টাকার মধ্যে খরচ হয়। আবার স্নাতক প্রোগ্রামগুলির খরচ প্রতি বছর ১২,২৩,০০০ টাকা থেকে ২৪,৪৫,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
বলে রাখা ভালো কানাডাতে কিন্তু মেডিসিন, ভেটেরিনারি মেডিসিন, ফার্মেসি এবং ডেন্টিস্ট্রির মতো সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে গেলে প্রচুর খরচ করতে হবে অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং অর্থনীতির মতো সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে খুব একটা খরচ করতে হবে না।
যারা কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে যেতে চান এবং কম খরচে নিজের পড়াশোনা শেষ করতে চান তারা দেশটির নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডর ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবা, এবং ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ব্রান্সউইক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হতে পারেন।
কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে গেলে টিউশন ফির বাইরেও আলাদাভাবে থাকা-খাওয়ার খরচের ব্যবস্থা করতে হয়। পড়াশোনা বা যেকোনো কাজের জন্য কানাডায় বসবাস করা কিন্তু প্রচুর ব্যয়বহুল কাজ।
সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর বাজেট থেকে সবচেয়ে বড় অংশটা চলে যায় কানাডায় থাকার খরচ হিসাবে। এই কারণেই আপনার খরচ কমাতে ভিন্ন পন্থা ব্যবহার করতে পারেন। পরিবারের কোনো সদস্য কানাডায় বাস করলে তাদের বাড়িতে উঠতে পারেন। বলে রাখা ভালো কানাডায় আবাসন খরচ হিসাবে মাসে ৮১/৮২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
আবাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের কাছাকাছি কোনো স্টুডেন্ট হলে উঠে পড়তে পারেন৷ ডরমিটরি এবং টাউনহাউস অফ ক্যাম্পাস, শেয়ার্ড কনডো বা অ্যাপার্টমেন্ট, হোমস্টে বা হোস্ট ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্টের ব্যবস্থা তো আছেই। এসব আবাসন ব্যবস্থার খরচের পরিমাণ কিন্তু এক নয়।
আপনাকে মাথায় রাখতে প্রতি স্কলারশিপপ্রাপ্ত স্টুডেন্ট বা কানাডার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্যে স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক। আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা খরচ বছরে ৪৫ থেকে ৬৬ হাজার বাংলাদেশী টাকা সমপরিমাণ লাগতে পারে।
আর্থিক সাহায্য এবং বৃত্তির সাহায্যে, আপনি কানাডার পড়াশোনা ও আবাসন খরচ কমিয়ে আনতে পারেন৷ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ একাডেমিক যোগ্যতা, আর্থিক প্রয়োজন বা উভয়ের সংমিশ্রণের ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের বৃত্তি এবং বার্সারি অফার করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগারি ইন্টারন্যাশনাল এন্ট্রান্স স্কলারশিপ আগত আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০ হাজার ডলারের উপরে বার্ষিক পুরষ্কার প্রদান করে। এক্ষেত্রে তাদের মাঝে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতেই হয়।
এছাড়াও, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারী অর্থায়নে বৃত্তি পাওয়া যায়। যেমন ভ্যানিয়ার কানাডা গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ এবং অন্টারিও ট্রিলিয়াম স্কলারশিপের কথাই ধরা যেতে পারে।
আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বা ফুল-টিউশন স্কলারশিপ রয়েছে। যেমন কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটিতে কনকর্ডিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ।
অন্যদিকে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের লেস্টার বি. পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ ৪ বছরের পড়াশোনার জন্য সম্পূর্ণ টিউশন ফি দেবে, বই দেবে এবং আনুষঙ্গিক ফিসহ জীবনযাত্রার খরচ কভার করবে…এমনটাই ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
কানাডায় বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে আপনার ভর্তির আবেদনের সাথে একটি পৃথক আবেদন পত্র জমা দিতে হতে পারে।
কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় হলো ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা। সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্তরের শিক্ষা সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট শিক্ষা যোগ্যতা না থাকলে কানাডার স্কলারশিপ কোনোভাবেই পাওয়া যাবে না।
যেকোনো ব্যাচেলর প্রোগ্রামে পড়তে হলে আপনাকে কিন্তু হাই স্কুল ডিপ্লোমা বা সমমানের ডিগ্রি কমপ্লিট করে নিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট গ্রেডের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে তবেই আবেদন করতে পারবেন৷ একাডেমিক যোগ্যতার পাশাপাশি, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আবেদনকারীর ভাষার উপর দক্ষতাও মেপে দেখে।
এক্ষেত্রে TOEFL বা IELTS-এর পরীক্ষার ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কানাডার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার নির্বাচিত প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে, আপনাকে ফ্রেঞ্চ দক্ষতার প্রমাণও দিতে হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে আপনার DELF/DALF স্কোর বা TCF।
কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হলে প্রয়োজন পড়বে আপনার:
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আবেদনের সময়সীমা ও প্রতিষ্ঠান এবং প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করবে।
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিন্তু কানাডার শরৎ বা শীতকালে সার্কুলেশন প্রকাশ করে থাকে। যারা স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চান তারা কমপক্ষে ৮ থেকে ১২ মাস আগেই আবেদন পর্ব সেরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন৷
মনে রাখবেন, রোলিং এবং ভর্তি সহ কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য, শিক্ষার্থীরা সারা বছর আবেদন করতে পারে।
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পেতে স্টাডি পারমিটের প্রয়োজন হবে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। এরপর কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে গ্রহণযোগ্যতার চিঠি, পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ভাষার দক্ষতার প্রমাণ ইত্যাদি ডকুমেন্টস সমেত আবেদন করুন।
আশা করি কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি সাধারণত আমাদের বাঙালি স্টুডেন্টদের জন্যে স্বপ্নের হয়ে থাকে। সুতরাং স্বপ্ন পূরণের খুশিতে সবকিছু ভুলে না গিয়ে প্ল্যানিং করে করে সামনে পা দিন।
শুরুতেই আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নিন। নতুবা পড়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। ক্যাম্পাসের ভেতরে সম্ভব না হলে অ্যাপার্টমেন্ট এবং হোমস্টের মতো ক্যাম্পাসের বাইরের আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করুন।
প্যাক করার সময়, গরম পোশাক, আরামদায়ক জুতা এবং প্রয়োজনীয় ঔষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মনে করে করে সাথে নিয়ে নিন। যাতে পরবর্তীতে আফসোস করতে না হয়।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য বিমানবন্দর পিক-আপ সার্ভিস অফার করে থাকে। বেরুবার পূর্বে জেনে নিন আপনার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এমন কোনো সার্ভিস অফার করছে কিনা। করলে তা লুফে নিন।
Study in Canada With Ultimate Guide on Bengali