উত্তম কুমার থেকে নেতাজী সুভাষ, সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের কৃত্রিম মেধা সৃষ্ট ‘অদ্ভুত’ ছবি৷ যেখানে তাঁকে উত্তম বলে চেনা যাচ্ছে, কিন্তু আবার মনে হচ্ছে না, এমন তো নন সেই মানুষটি৷
আগামী দিন কি এমনই দ্বন্দ্বে ভরা হতে চলেছে। আসল ছবি আর AI-এর তৈরি করা ছবিতে ফারাক করা যাবে কী করে? সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজতে চাইছে Google।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI দ্বারা তৈরি করা নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই Google খুঁজছে পথ। AI নির্মিত ছবিগুলি এখন আর শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়, তা ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটেও। কপিরাইট-এর ফাঁস এড়াতে অনেকেই AI নির্মিত ছবি ব্যবহার করছেন। আর সেখানেই গোলমাল তৈরি হচ্ছে। কোন ছবিটি কৃত্রিম মেধার বানানো আর কোনটি মানুষের তোলা বা আঁকা, তা বোঝা দায়।
Google তাই AI দিয়ে তুলতে চাইছে AI কাঁটা। তার DeepMind ব্যবহার করে একটি টুল তৈরি করছে। এর সাহায্যে সহজেই সনাক্ত করা যাবে কোন ছবিগুলি AI তৈরি করেছে। ওই সব ছবির মধ্যে থাকবে একটি জলছাপ। যা থেকে সহজেই সনাক্ত করা যাবে ছবির উৎস।
Synth ID নামক সফ্টওয়্যারটির বিটা সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে। এটি কোনও ছবির পিক্সেলগুলিতে একটি জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক দিয়ে দেবে। সাধারণ চোখে ধরা না পড়লেও তা সনাক্ত করতে পারবে প্রযুক্তি।
সফ্টওয়্যারটি বিটা সংস্করণে রয়েছে। DeepMind-এর নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ব্যবহারকারীরাই আপাতত এই সুবিধা পাবেন। ওয়াটারমার্ক টুলটি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে Google তার ‘ডিপ লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করছে। সংস্থার দাবি, ওয়ারমার্ক দেওয়ার ফলে ছবির গুণগত মান, রঙ বা অন্য কোনও দিকে কোনও প্রভাব পড়বে না।
Synth ID-এর এই উদ্যোগকে সঠিক পদক্ষেপ বলতেই হয়। কারণ যে গতিতে AI প্রযুক্তি বিকশিত হচ্ছে, তাতে AI-এর তৈরি করা ভুল তথ্য বড় বিপর্যয় আনতে পারে। বিশেষত জালিয়াতি এড়াতে এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নতি করতে হবে।
Google-এর তরফ থেকে AI নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অন্য সংস্থাগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সূত্র ১৮ নিউজ ডট কম