ভাইলোগ, অবশেষে কি প্রমাণ হল?শাকিব খানের জীবনে দুইটা সত্য আছে। একটা সত্যের নাম আব্রাম খান জয়, আরেকটা সত্যের নাম শেহজাদ খান বীর। দুইছেলে জয় ও শেহজাদ ছাড়া শাকিবের জীবনে কোনো অপু বিশ্বাস নেই, কোনো বুবলি নেই।
যদিও অপু বিশ্বাসের ভক্তরা ধরেই নিয়েছিল অপু বিশ্বাস আমেরিকায় পুনর্মিলনের প্রস্তুতি হিসেবে সোনার গহনা শাড়ি কিনতে গিয়েছিল। আসলে ব্যাপারটা তেমন ছিলো না মোটেও। শাকিবের চোখে জয়ের মা হিসেবেই স্বীকৃত অপু বিশ্বাস। বুবলিও শেহজাদের মা হিসেবেই স্বীকৃত হয়ে থাকবে।
শাকিব জয়কে নিয়ে যেখানেই ঘুরতে গিয়েছে সবসময় জয়ের সাথে তার মাকে থাকতে হয়েছিল। সেই হিসেবে অপুকে শপিং করার জন্য টাকাপয়সা দিয়েছিল শাকিব। জয়কে নিয়ে শাকিব ম্যানহাটনের টাইম স্কোয়ার, সেন্ট্রাল পার্ক, নায়াগ্রা ফলসে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের সাথে জয়ের কেয়ারগিভার হিসেবে ছিল তার মা অপু বিশ্বাস।
নিউইয়র্কে শাকিব অপু দু’জনই আলাদা আলাদা হোটেলে অবস্থান করেছিল। বাবা- ছেলের একত্রে সময় কাটানোটা অবভিয়াস ছিল। যদিও ফটকাবাজ কিছু মিডিয়াকর্মী এই ব্যাপারটাকে আরব্য রজনীর গল্প দিয়ে আচার বানিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেটভরে খাইয়ে দিয়েছিল।
অপু বিশ্বাস শাকিব খানের পুনর্মিলন হতে চলেছে…….আরও কত নিউজ। আমি বলেছিলাম এ বছরেই শেহজাদ খানকে নিয়ে তার মা বুবলি আমেরিকা ঘুরতে যাবে। তখন সোশাল মিডিয়ায় পিতাপুত্রের মনোরম ফটোগ্রাফ দেখে হৃদয় জুড়াবে শেহজাদ লাভাররা।
এবার শাকিবের প্রত্যেক্ষ ঘোষণায় বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। আপনারা অর্থাৎ ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের পাবলিকরা শুধু আব্রাম খান জয়ের জন্য খুশি হবেন, শেহজাদের জন্য নয় কেন?? শিশুর সাথে দুশমনি কেন? তার কি দোষ? জয়ের চেহারা সুন্দর, শেহজাদের চেহারা পঁচা –এ ধরণের মস্তিষ্ক বিকৃত টাইপের কথাবার্তা কম বলা হয়নি।
খোদ অপু বিশ্বাসই একবার শিশু শেহজাদকে নিয়ে নোংরাভাবে বিদ্রুপ করেছিল। একজন মা হয়ে আরেকজন মায়ের বাচ্চার প্রতি আক্রমণাত্মক বিদ্রুপাত্মক ইমপ্রেশান ছুঁড়ে দেয়ার পর অপু বিশ্বাসকে মানুষ মনঃস্তাত্ত্বিক রোগী হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। শিশুকে বিদ্রুপ করার মত জঘন্য এই কাজটি বুবলি করেনি। ব্যক্তিত্বের উচ্চতা বাড়ানো দরকার অপু বিশ্বাসের।
অপুর ফ্যানরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে, শাকিব আবার দ্বিতীয় কিস্তিতে অপু বিশ্বাসের সাথে সংসার শুরু করবে। কিন্তু নিউইয়র্কে এমন কোনো সম্ভাবনা শাকিবের আচরণে দেখা যায়নি। জয়কে নিয়ে বেড়াতে গিয়েও শাকিব তার দ্বিতীয় পুত্র শেহজাদের সাথে ভিডিওকলে কথা বলেছে। অর্থ্যাৎ শাকিব তার পিতৃত্ত্বের ধর্ম ঠিকই পালন করেছেন। আর ওদিকে অপু বিশ্বাস নিমরাজি ভাব দেখিয়ে তার ভক্তদেরকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী বানিয়ে দিয়েছে। এরফলে তার ভক্তরা এক্সট্রিমিস্ট হয়ে উঠেছে।
অপু বিশ্বাস ঠিকঠাকভাবে তার অন্তরালের সত্যটা জানে যে শাকিব খানের সাথে তার সংসার আর জোড়া লাগবেনা। বুবলির ক্ষেত্রেও তাই। নিউইয়র্কে আব্রাম খান জয়কে তার বাবা যেসব অ্যামেজিং মেমোরি দিয়েছে ঠিক একই মেমোরি শেহজাদও পাবে তার বাবার কাছ থেকে। অপু বিশ্বাসের অপরিণত ভক্তদের বলি, শিশুদের নিয়ে হিংসা বিদ্বেষ ছড়াবেন না।
জয় শেহজাদের মধ্যে শাকিবের ডিএনএ আছে সমানরুপে। একজনের প্রতি ভালোবাসা অন্যজনের প্রতি ঘৃণা দেখাবেন না। আপনাদের এমন আচরণে আপনাদের জিজাজী অসন্তুষ্ট হবে। জয় শেহজাদ দু’জনই শাকিবের দো আনমোল রতন। তাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব শাকিবের। অপুর ভক্তদের খুশি করার জন্য শাকিব শেহজাদকে কখনো ইগনোর করবেনা। এক্সট্রিমিস্ট ফ্যানদের উদ্দেশ্যে বলবো শিশুদের ক্ষেত্রে অন্তত মানবতা স্নেহ মমতা সমবন্টন করুন। এতে আপনার কোনো লস হবেনা।
তথ্য মিলি সুলতানা