জনপ্রিয় মডেল – অভিনেত্রী কুসুম শিকদার ইদানিং পর্দায় নিয়মিত না হলেও দারুণভাবে আলোচনায় রয়েছেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত নিজের আবেদনময়ী রূপের আগুন ঝরানো ছবি শেয়ার করে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ায় ধন্য হচ্ছেন। মোটামুটি লম্বা একটা বিরতির প্রায় পাঁচ বছর পর নিজের ছবি প্রযোজনার মাধ্যমে ফের পর্দায় ফিরছেন সাবেক এই লাক্স তারকা। এর বাইরে নিজের গ্ল্যামারাস ফিগারের দারুন সব উত্তেজক ভঙ্গির ছবি ছড়িয়ে নিজেকে কুড়ি বছরের তন্বী – তরুণী রূপে হাজির করছেন কুসুম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবারও রূপের আগুন ছড়িয়েছেন কুসুম শিকদার। ভাইরাল হওয়া তার এই সব ছবিতে দেখা যায় – আবেদনময়ী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন এই তারকা। কালো ও কালারফুল পোশাকে বেশকিছু পোজে সম্প্রতি ছবি তুলেছেন কুসুম। আর সেই ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে দারুন ভাবে ভক্তদের ভালোবাসায় ধন্য হচ্ছেন তিনি। তার ছবির পোস্টে বিভিন্নজন নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ আগুনের প্রতীকী স্টিকারও দিয়েছেন। মন্তব্যে সাজিন আহমেদ বাবু লেখেন, ‘কালোর মাঝে আলোর বিন্দু, নাকি আলো ওই হরিণী চোখের বাঁকা চাহনি; মিস্টি ঠোঁটের স্লেশ হাসি।’ আর এই মন্তব্যের রিপ্লাইতে ভালোবাসার স্টিকার দিয়েছেন কুসুম। রিফাত লেখেন, ‘নেট দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে কুসুম আপি।’
কুসুম জানান, আগামী বছরের শুরুর দিকে মুক্তি পাবে তার অভিনীত ‘শরতের জবা’ ছবিটি। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের প্রযোজিত এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে তার। এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
কুসুম শিকদার ২০০২ সালে লাক্স – আনন্দধারা ফটোজেনিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০১০ সালে গহীনে শব্দ ছবিটি দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র লাল টিপ এর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন এবং তার অভিনীত পরবর্তী চলচ্চিত্র শঙ্খচিল এর জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
অভিনয় ছাড়াও কুসুম শিকদার একজন সঙ্গীত শিল্পী। কুসুমের প্রথম একক অ্যালবাম তুমি আজ কত দূরে প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর তার দুটি মিশ্র অ্যালবাম জীবনের যত পাওয়া এবং অদল বদল বের হয় যথাক্রমে ২০০০ এবং ২০০১ সালে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর “নেশা” শীর্ষক তার একটি একক গান প্রকাশিত হয় ৩ আগস্ট, ২০১৭।