আপনি সি স্পেনে প্রবাসী হিসাবে কাজ করছেন? যদি করে থাকেন তবে আপনার জন্য রয়েছে বিশাল সুখবর। ইতিমধ্যেই স্পেনের মাদ্রিদতে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট সেবা। একজন বাংলাদেশী স্পেন প্রবাসী হিসাবে আপনি এই সেবার আওতাভুক্ত যেকোনো সেবা সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন৷
উল্লেখ্য সম্প্রতি স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদের সভাপতিত্বে দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই নতুন ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হয়। এর আগে সৌদি আরবেও এই সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ কতৃপক্ষ।
স্পেনে এই ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার বিশেষ অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী।
স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে বর্তমানে যে ‘ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ’ রয়েছে তাতে ৩৮টিরও বেশি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসং রয়েছে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যেমন পাসপোর্টধারীর রঙিন ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ, স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা, পূর্ববর্তী পাসপোর্টের রেকর্ড ইত্যাদি সংগ্রহ করা থাকবে।
স্পেনে প্রবাসী হিসাবে যারা সবসময় বিজি থাকেন তারা এই সেবার আওতায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদন ফরম পূরণ করা এবং অনলাইনে পাসপোর্ট ফি প্রদানের সুযোগ পাবেন। অর্থ্যাৎ এই প্রক্রিয়ার বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝামেলার কাজগুলি আপনি ঘরে বসেই সেরে নিতে পারবেন।
যাদের সঠিক বয়স রয়েছে সেসব নাগরিক এই সেবার অংশ হিসাবে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট নিতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদের ডেটাবেজ, ৭২টি এসবি/ডিএসবি অফিস, ই-হজ ব্যবস্থাপনাসহ যেকোনো কাজে পাবেন বাংলাদেশের বেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলির সাহায্য।
মনে রাখবেন বাইরের দেশ থেকে এই ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো ই-গেট ব্যবহার করে একজন ই-পাসপোর্টধারী অনায়াসে এবং দ্রুততার সঙ্গে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারার বিষয়টি। আপনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দরসহ মোট ৪২টি ই-গেটের সন্ধান পাবেন৷
যাইহোক। আপনি যদি এই ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে যুক্ত থাকেন বা এর অংশ হয়ে থাকেন তবে আপনি সহজেই এই ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করে ঝামেলার হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিতে পারবেন। তবে আর দেরি কেনো? আজই খবর নিন এবং সংগ্রহ করে নিন আপনার প্রয়োজনীয় ই-পাসপোর্ট সেবা। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।