পৃথিবীর ইতিহাসে খলিল ইবনু আহমাদের মতো অসাধারণ মানুষ খুব কমই এসেছে।
তিনি যখন মানুষের উপকার করতেন, তখন তা গোপন রাখতেন, আর যখন কারো দ্বারা উপকৃত হতেন, তখন তা (আনন্দচিত্তে) প্রকাশ করতেন। [ইমাম বুখারি, আত-তারিখুল কাবির: ২/১৯৪]
অথচ, আমরা ঠিক উল্টোটা করি!
খলিল ইবনু আহমাদ আল-ফারাহিদি (রাহ.) একবার তাঁর এক বন্ধুর সাথে হাঁটছিলেন। হঠাৎ বন্ধুর জুতা ছিঁড়ে গেলো, তাই তিনি খালি পায়ে হাঁটতে লাগলেন। এটা দেখে খলিল ইবনু আহমাদের খারাপ লাগলো। ফলে, তিনিও নিজের জুতা খুলে হাতে নিয়ে হাঁটতে লাগলেন।
.
বন্ধু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি এ কী করছো?’
খলিল বলেন, ‘তুমি যে খালি পায়ে হাঁটছো, সেটার সান্ত্বনা দিচ্ছি, সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
এমন আন্তরিক মানুষ কোথায় পাওয়া যায়? এমন বন্ধু কোটিতেও একজন হয় না।
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা (রাহিমাহুল্লাহ) সত্যই বলতেন, ‘তোমাদের কেউ যদি স্বর্ণ-রৌপ্য-মেশকের তৈরি কোনো মানুষ দেখতে চাও, তাহলে খলিল ইবনে আহমাদকে দেখো।’ [ইমাম সুয়ুতি, আল-মুযহির: ১/৫২]
উল্লেখ্য, খলিল ইবনু আহমাদকে আরবি সাহিত্যের অন্যতম শাখা ‘ইলমুল আরুদ্ব’ (ছন্দশাস্ত্র)-এর জনক মনে করা হয়। আল্লাহ তা‘আলা এই মহান মনীষীর কবরকে আলোকিত করুন, তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তাঁর ব্যক্তিত্ব থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূত্র নুসুস থেকে