জীবনের মানের উন্নতি আনতে, স্কলারশিপ করতে কিংবা ভালো ইনকাম করতে নিউজিল্যান্ড হতে পারে পার্ফেক্চ চয়েজ। কর্মসংস্থান, পড়াশোনা ও পরিবার নিয়ে নিরাপদে বসবাস করার জন্য পৃথিবীতে যে ক’টি দেশ বেশ জনপ্রিয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড তার মাঝে অন্যতম। সবদিকটা বিবেচনা করে আমরা আজ আলোচনা করতে চলেছি নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার সহজ এবং সঠিক উপায়! সুতরাং সাথেই থাকুন৷
নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনার আগেই আমাদের নিউজিল্যান্ড ভিসার ধরণ নিয়ে কথা বলতে হবে। কারণ নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার জন্য আপনাকে আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভিসার ক্যাটাগরি বেছে নিতে হবে। চলুন তবে বাঙালিদের জন্য প্রযোজ্য এমনকিছু গুরুত্বপূর্ণ নিউজিল্যান্ড ভিসা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
শুধুমাত্র ভ্রমণ বা পরিবার/বন্ধুদের সাথে দেখা করতে চাইলে আপনাকে এই নিউজিল্যান্ড টুরিস্ট ভিসার আন্ডারে নিউজিল্যান্ডে যেতে হবে। আর এই ভিসার আন্ডারে আপনি সর্বোচ্চ ৯ মাস পর্যন্ত দেশটিতে থাকার সুযোগ পাবেন। আর এক্ষেত্রে ভিসা ফি হিসাবে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় NZD 246। যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১৮,০০০ টাকার মতো পড়বে। আপনারা যারা এই নিউজিল্যান্ড টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন ভাবছেন তাদের যেসব ডকুমেন্টস অবশ্যই শো করাতে হবে:
এই নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার আরেক নাম হলো Fee Paying Student Visa। কোর্সের সময় অনুযায়ী এই ভিসার মেয়াদ ঠিক করা হয়৷ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৮,০০০ টাকার মতো থাকলেই আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ আর এক্ষেত্রে ডকুমেন্টস হিসাবে লাগবে:
এরপর আসি নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসার ব্যাপারে। এই ভিসাকে আবার Accredited Employer Work Visa বা AEWV বলা হয়। যারা চাকরির মাধ্যমে বৈধভাবে নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে চান তাদের এই ভিসার দরকার। এই ভিসার আন্ডারে আপনি সর্বোচ্চ ৩ বছর নিউজিল্যান্ডে থাকতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে খরচ পড়বে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৬,০০০ টাকা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসাবে লাগবে:
সবশেষে বলবো পার্টনার ও ডিপেনডেন্ট ভিসার ব্যাপারে। এই স্পেশাল ভিসাটি কেবল তাদের জন্যই যারা নিউজিল্যান্ডে থাকা স্বামী/স্ত্রী/পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান। এই ভিসার জন্য যারা আবেদন করতে চান তাদের মূলত ডকুমেন্টস হিসাবে লাগবে:
নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদন করার করার সিস্টেম কিন্তু ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন নয়। সবই একইরকম। এক্ষেত্রে:
এক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসার জন্যপ্রায় ২০-৩০ কার্যদিবস, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রায় ৬০ কার্যদিবস এবং ওয়ার্ক ভিসার জন্য ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আশা করি আপনার নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার মিশন এবার অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে। মনে রাখবেন নিউজিল্যান্ডের ভিসা আবেদনের সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট যত বেশি দেবেন তত বেশি ভালো হবে। তাছাড়া মনে রাখবেন আবেদনের সময় মিথ্যা তথ্য বা জাল ডকুমেন্ট দিলে আজীবনের জন্য আপনাকে পস্তাতে হবে। আর হ্যাঁ! পারলে নিজে আবেদন করুন। নিজে আবেদন করলে খরচ কমবে।