শিরোনাম:
বাংলাদেশে সস্তায় ট্রেন ভ্রমণ করার উপায়: কিভাবে টিকিট কাটবেন এবং কি কি করবেন  মাত্র ৫০-৫৫ হাজার টাকায় ৫ দিনের থাইল্যান্ড ট্যুর প্ল্যান  দেশে ফিরেও কোথাও ঠাঁই মেলেনি প্রবাসী তমিজ উদ্দিনের দেশে রেমিট্যান্স পাঠাবেন যেভাবে: বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ জার্মানিতে DAAD MIDE Scholarships স্কলারশিপে থাকছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা  জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের প্রবেশে প্রধান প্রতিবন্ধকতা বিদেশে গাড়ি কেনার নিয়ম: বিদেশে গাড়ি কেনার ফুল গাইডলাইন  ১০ জন বিখ্যাত বাঙালি কবির নাম কী কী: বাংলাদেশের সেরা ১০ কবি চাকরি বা ইনভেস্টমেন্টে সরাসরি গ্রিন কার্ড! জেনে নিন EB ভিসার খুঁটিনাটি স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ ও স্থায়ী হওয়ার উপায়

নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার উপায়

নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার উপায় | খরচ | সময়সীমা | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস 

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার উপায়.jpg
নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার উপায়

নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার উপায় | খরচ | সময়সীমা | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস 

জীবনের মানের উন্নতি আনতে, স্কলারশিপ করতে কিংবা ভালো ইনকাম করতে নিউজিল্যান্ড হতে পারে পার্ফেক্চ চয়েজ। কর্মসংস্থান, পড়াশোনা ও পরিবার নিয়ে নিরাপদে বসবাস করার জন্য পৃথিবীতে যে ক’টি দেশ বেশ জনপ্রিয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড তার মাঝে অন্যতম। সবদিকটা বিবেচনা করে আমরা আজ আলোচনা করতে চলেছি নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার সহজ এবং সঠিক উপায়! সুতরাং সাথেই থাকুন৷

নিউজিল্যান্ড ভিসার ধরণ

নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনার আগেই আমাদের নিউজিল্যান্ড ভিসার ধরণ নিয়ে কথা বলতে হবে। কারণ নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার জন্য আপনাকে আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভিসার ক্যাটাগরি বেছে নিতে হবে। চলুন তবে বাঙালিদের জন্য প্রযোজ্য এমনকিছু গুরুত্বপূর্ণ নিউজিল্যান্ড ভিসা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

নিউজিল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা 

শুধুমাত্র ভ্রমণ বা পরিবার/বন্ধুদের সাথে দেখা করতে চাইলে আপনাকে এই নিউজিল্যান্ড টুরিস্ট ভিসার আন্ডারে নিউজিল্যান্ডে যেতে হবে। আর এই ভিসার আন্ডারে আপনি সর্বোচ্চ ৯ মাস পর্যন্ত দেশটিতে থাকার সুযোগ পাবেন। আর এক্ষেত্রে ভিসা ফি হিসাবে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় NZD 246। যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১৮,০০০ টাকার মতো পড়বে। আপনারা যারা এই নিউজিল্যান্ড টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন ভাবছেন তাদের যেসব ডকুমেন্টস অবশ্যই শো করাতে হবে:

  • কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ আছে এমন বৈধ পাসপোর্ট
  • অনলাইন পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম 
  • পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি 
  • শেষ ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট 
  • যারা চাকরি করেন তাদের ক্ষেত্রে চাকরির অনুমতিপত্র ও সনদ
  • ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর ডকুমেন্ট
  • হোটেল ও ফ্লাইট বুকিং কনফার্মেশন
  • নিউজিল্যান্ডে স্পন্সর থাকলে তার চিঠি এবং আইডি

নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা

এই নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার আরেক নাম হলো Fee Paying Student Visa। কোর্সের সময় অনুযায়ী এই ভিসার মেয়াদ ঠিক করা হয়৷ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৮,০০০ টাকার মতো থাকলেই আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ আর এক্ষেত্রে ডকুমেন্টস হিসাবে লাগবে:

  • কোনো স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার
  • টিউশন ফি পরিশোধের রসিদ
  • আপনার আর্থিক প্রমাণ
  • IELTS/TOEFL স্কোর এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট

নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসা

এরপর আসি নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক ভিসার ব্যাপারে। এই ভিসাকে আবার Accredited Employer Work Visa বা AEWV বলা হয়। যারা চাকরির মাধ্যমে বৈধভাবে নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে চান তাদের এই ভিসার দরকার। এই ভিসার আন্ডারে আপনি সর্বোচ্চ ৩ বছর নিউজিল্যান্ডে থাকতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে খরচ পড়বে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৬,০০০ টাকা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসাবে লাগবে:

  • নিউজিল্যান্ডে অনুমোদিত কোম্পানি থেকে চাকরির অফার লেটার
  • পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ হিসাবে IELTS, TOEFL ইত্যাদি স্কোর
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

পার্টনার ও ডিপেনডেন্ট ভিসা

সবশেষে বলবো পার্টনার ও ডিপেনডেন্ট ভিসার ব্যাপারে। এই স্পেশাল ভিসাটি কেবল তাদের জন্যই যারা নিউজিল্যান্ডে থাকা স্বামী/স্ত্রী/পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান। এই ভিসার জন্য যারা আবেদন করতে চান তাদের মূলত ডকুমেন্টস হিসাবে লাগবে:

  • স্পন্সর ব্যক্তির পাসপোর্ট ও আইডি
  • তার সাথে সম্পর্কের প্রমাণ হিসাবে বিবাহ সনদ, ফ্যামিলি রেকর্ড
  • আর্থিক সহায়তার দলিল
  • এবং সবশেষে যদি থাকে একসাথে বসবাসের প্রমাণ

নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদন করার উপায়

নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদন করার করার সিস্টেম কিন্তু ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন নয়। সবই একইরকম। এক্ষেত্রে:

  • শুরুতে আপনাকে সঠিক ভিসার ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে
  • নিউজিল্যান্ড ইমিগ্রেশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
  • সকল ডকুমেন্ট ভালোভাবে স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করে দিন
  • অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে আবেদন ফি পরিশোধ করুন
  • বায়োমেট্রিক এবং মেডিকেল পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করে নিন
  • আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে ভিসা এপ্রুভ হবার জন্য অপেক্ষা করুন

কত দিনে নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়া যায়?

এক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসার জন্যপ্রায় ২০-৩০ কার্যদিবস, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রায় ৬০ কার্যদিবস এবং ওয়ার্ক ভিসার জন্য ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ইতি কথা

আশা করি আপনার নিউজিল্যান্ড ভিসা পাওয়ার মিশন এবার অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে। মনে রাখবেন নিউজিল্যান্ডের ভিসা আবেদনের সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট যত বেশি দেবেন তত বেশি ভালো হবে। তাছাড়া মনে রাখবেন আবেদনের সময় মিথ্যা তথ্য বা জাল ডকুমেন্ট দিলে আজীবনের জন্য আপনাকে পস্তাতে হবে। আর হ্যাঁ! পারলে নিজে আবেদন করুন। নিজে আবেদন করলে খরচ কমবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ