তাকে ভালবাসুন এবং প্রাণভরে ধন্যবাদ দিন, যে আপনার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়। ভুলের কথা বললে তার দিকে তেড়ে আসবেন না; মনে কষ্ট নিবেন না। কারণ এমন অসংখ্য মানুষ আছে, যারা আপনার ভুলগুলো জেনেও আপনাকে কিছু বলে না, কিন্তু আড়ালে ঠিকই আপনার সম্মানহানি করে বেড়ায়। আপনার জানা হয় না—আপনার ত্রুটিগুলো কী কী, ফলে কখনো নিজের সংশোধনও করতে পারেন না। তাই, যারা সংশোধনের উদ্দেশ্যে আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তারা আমাদের সত্যিকারের সুহৃদ।
ফিকহের প্রসিদ্ধ ইমাম ইবনু কুদামাহ আল মাকদিসি (রাহ.) বলেন, ‘পূর্বসূরি নেককার ব্যক্তিরা সেই ব্যক্তিদের ভালোবাসতেন, যারা তাদেরকে তাদের ভুলগুলো সম্পর্কে সতর্ক করে দিতেন।’ [মিনহাজুল কাসিদিন: ১/১৫৭]
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘কল্যাণকামিতাই দ্বীন।’’ সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কার জন্য (কল্যাণ কামনা)?’ তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলিম শাসকদের জন্য এবং মুসলিমদের জনসাধারণের জন্য।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ১০০; ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ৪১৯৯]
রাসুল সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য আয়নাস্বরূপ এবং এক মুমিন অপর মুমিনের ভাই। সে তার ক্ষতিসাধন করা হতে বেঁচে থাকে এবং তার অনুপস্থিতিতে তাকে রক্ষা করে।’’ [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৪৯১৮; হাদিসটি হাসান]
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘‘মুমিন ব্যক্তি তার (অপর মুমিন) ভাইয়ের জন্য আয়নাস্বরূপ। সে তার মাঝে কোনো ত্রুটি দেখলে তাকে সংশোধন করে দেবে।’’ [ইমাম বুখারি, আল-আদাবুল মুফরাদ: ২৩৭; বর্ণনাটির সনদ হাসান]
কেউ আমাদের ভুল ধরিয়ে দিলে যদি আমরা রেগে যাই, তাহলে নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে হবে যে, আমাদের মন অহংকারে পরিপূর্ণ।