সবচেয়ে বড় দায় এই দালালদের, যারা মিথ্যা আশ্বাস, ভুয়া কাগজ, এবং লোভনীয় প্রলোভন দিয়ে মানুষকে বিদেশ পাঠায়।
তারা জানে মানুষ অসহায়—তবুও লোভ করে টাকা নেয়, আর পরে ফেলে দেয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।
অনেক সময় না জেনে, না বুঝে বা কাগজপত্র যাচাই না করে সিদ্ধান্ত নেয়—তখন নিজেকেও কিছুটা দায় নিতে হয়।
আবার কেউ কেউ লোভে পড়ে শর্টকাট পথ খোঁজে—যার পরিণতি হয় ভয়াবহ।
বাংলাদেশে সরকারি অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর উপর সঠিক নজরদারি অনেক সময় থাকে না।
ভুয়া অফিস, লাইসেন্সবিহীন মধ্যস্থতাকারী, এসব অনেক আগে থেকেই চলে আসছে—কিন্তু ব্যবস্থা দুর্বল।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বা সরকারি মিডিয়ায় সচেতনতামূলক প্রচার খুব সীমিত।
বিদেশে যাওয়ার আগে কাউন্সেলিং, ভাষাশিক্ষা বা তথ্য দেওয়া থাকলেও তা অনেকেই পায় না বা জানেই না।
অনেক বিদেশি কোম্পানি লোক এনে চুক্তি ভঙ্গ করে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও অনেক প্রবাসী ন্যায্য সহায়তা পায় না।
মূল দায়: প্রতারক চক্র ও দুর্বল ব্যবস্থাপনা।
আংশিক দায়: অভিবাসনপ্রার্থীর সচেতনতার অভাব।
নৈতিক দায়: রাষ্ট্র ও সমাজের, যারা একটা গরিব মানুষকে বাধ্য করে এমন পথে নামতে।