শিরোনাম:
বাংলাদেশে সস্তায় ট্রেন ভ্রমণ করার উপায়: কিভাবে টিকিট কাটবেন এবং কি কি করবেন  মাত্র ৫০-৫৫ হাজার টাকায় ৫ দিনের থাইল্যান্ড ট্যুর প্ল্যান  দেশে ফিরেও কোথাও ঠাঁই মেলেনি প্রবাসী তমিজ উদ্দিনের দেশে রেমিট্যান্স পাঠাবেন যেভাবে: বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ জার্মানিতে DAAD MIDE Scholarships স্কলারশিপে থাকছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা  জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের প্রবেশে প্রধান প্রতিবন্ধকতা বিদেশে গাড়ি কেনার নিয়ম: বিদেশে গাড়ি কেনার ফুল গাইডলাইন  ১০ জন বিখ্যাত বাঙালি কবির নাম কী কী: বাংলাদেশের সেরা ১০ কবি চাকরি বা ইনভেস্টমেন্টে সরাসরি গ্রিন কার্ড! জেনে নিন EB ভিসার খুঁটিনাটি স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ ও স্থায়ী হওয়ার উপায়

মেক্সট স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা ও খরচ

মেক্সট স্কলারশিপ: টোকিওতে পড়াশোনা করুন একদম ফ্রি

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
মেক্সট স্কলারশিপ: টোকিওতে পড়াশোনা করুন একদম ফ্রি.jpg

মেক্সট স্কলারশিপ পরিচিতি: মেক্সট স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা ও খরচ

বিদেশে পড়তে যাবো, কিন্তু খরচ? এই চিন্তায় অনেকেই বিদেশে স্কলারশিপ করার কথা ভাবেই না। আর এই প্রশ্নেই আটকে যায় হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। কারণ ভিসার ঝামেলা, টিউশন ফি, থাকা-খাওয়ার খরচ, আর পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকার চাইতে দেশেই পড়াশোনা করা ভালো৷ কিন্তু আপনি যদি জানতেন, জাপান সরকার নিজ হাতে আপনাকে টিকিট ধরিয়ে বলছে, আসো, পড়ো, আমরা সব দিচ্ছি…তাহলে কি করবেন? হ্যাঁ! তেমনটাই ব্যবস্থা করা হয়েছে টোকিওর মেক্সট স্কলারশিপে। বিস্তারিত জানতে সাথেই থাকুন।

মেক্সট স্কলারশিপ কী: MEXT Scholarship পরিচিতি

শুরুতেই চলুন মেক্সট স্কলারশিপ কী সে-সম্পর্কে আলোচনা করি। MEXT-এর ফুল ফর্ম হলো Ministry of Education, Culture, Sports, Science and Technology of Japan। বাংলায় বললে…জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশাল মানের স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের আন্ডারে মূলত জাপান সরকার নিজ খরচে আপনাকে জাপানে নিয়ে গিয়ে পড়াশোনা করাবে, আপনার খরচ দেবে এবং মাসে মাসে আপনাকে টাকাও দেবে। অবাক হবার কিছু নেই। এটাই সায়েন্স!

মেক্সট স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা

এবার আসি মেক্সট স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা কিরকম সে ব্যাপারে। এই স্কলারশিপে কারা আবেদন করতে পারবে তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয় কিছু পয়েন্টের সাহায্যে। তাছাড়া মেক্সট স্কলারশিপে বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, মাস্টার্স, পিএইচডি, টেকনিক্যাল কলেজ, স্পেশালাইজড ট্রেনিং ইত্যাদি। তাই আবেদন করার আগে এসব ক্যাটাগরি অনুযায়ী কারা আবেদন করতে পারবে তা জেনে নিতে হবে। যেমন:

  • বয়সসীমা: যারা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করতে চায় তাদের আবেদনের সময় বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ২৫ বছর। মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে চাইলে সাধারণত ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে।
  • একাডেমিক যোগ্যতা: একাডেমিক যোগ্যতা হিসাবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এর জন্য আবেদনকারীদের থাকতে হবে এইচএসসি বা সমমান সার্টিফিকেট এবং মাস্টার্সের জন্য লাগবে ব্যাচেলর ডিগ্রির সার্টিফিকেট। সবশেষে পিএইচডির জন্য দরকার মাস্টার্স ডিগ্রির সার্টিফিকেট। মোটকথা পাশ করে থাকলেই আশা আছে। স্কলারশিপ পেতে আপনাকে জিনিয়াস হতে হবে এমন না।
  • মানসিকতা: এটা নরমাল স্কলারশিপের চাইতে একটু ভিন্ন। এই স্কলারশিপের জন্য স্টুডেন্ট কালেক্ট করার সময় তারা কিন্তু স্টুডেন্ট জাপানি কালচার এবং ভাষা শিখতে আগ্রহী কিনা, এটা দেখে। তবে না জানলেও সমস্যা নেই। জাপানে গেলেই শিখিয়ে দেবে!

মেক্সট স্কলারশিপে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?

মেক্সট স্কলারশিপে সুবিধার কথা লিখে শেষ করা যাবে না। যার কারণে অনেকে মেক্সট স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি বলি সোনার হরিণ নিয়ে অতিরিক্ত কিছু বলার দরকার পড়ে না৷ কারণ এই স্কলারশিপে যত সুবিধা আছে, তা অনেক প্রাইভেট স্কলারশিপে কল্পনাই করা যায় না। যেমন:

  • পুরো টিউশন ফি ফ্রি! এই স্কলারশিপের আন্ডারে আপনি যত দামি ইউনিভার্সিটিতেই চান না কেন, টিউশন ফি জিরো।
  • আবার ফ্লাইট খরচ ফ্রি! ঢাকা টু টোকিও বা টোকিও টু ঢাকা দুই দিকেই বিমানের খরচ সরকার দেবে।
  • শুধু তাই না! থাকা ও খাওয়া বাবদ মাসিক ভাতা হিসাবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করলে প্রতি মাসে প্রায় ¥117,000 পাবেন। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৮,০০০ টাকা। আর মাস্টার্স করলে মিলবে প্রায় ¥143,000 বা ১,০৮,০০০ টাকা সবশেষে পিএইচডি করলে মিলবে প্রায় ¥145,000 বা ১,১০,০০০ টাকার মতো।
  • এই স্কলারশিপের আরো একটি বিশাল বড় সুবিধা হলো জাপানি ভাষা শেখার সুযোগ। তারা প্রথমে আপনাকে ৬ থেকে ১২ মাসের জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে পাঠাবে। যাতে আপনি জাপানিজটাও রপ্ত করে নিতে পারেন৷
মেক্সট স্কলারশিপে আবেদন করার উপায়

মেক্সট স্কলারশিপে আবেদন করতে হলে আপনাকে জাপানের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। বাংলাদেশে হলে যেতে হবে এই ঠিকানায় bd.emb-japan.go.jp। আবেদন প্রক্রিয়ায় যা যা থাকে:

  • আবেদন ফর্ম ফিলআপ
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট
  • Recommendation Letter 
  • Study Plan বা Research Proposal লিখিত পরীক্ষা 
  • ভাইভা
  • মেডিকেল চেকআপ

ইতি কথা

মনে রাখবেন, জাপানের ইউনিভার্সিটিগুলোর গ্লোবাল র‍্যাংকিং ভালো। তাছাড়া জাপানিজ প্রযুক্তি, রিসার্চ ও ডেডিকেশন লেভেল বিশ্বে সেরা মানের৷ আর আপনি যদি সুশি, রামেন, আনিমে, চেরি ব্লসম আর ফুজি পাহাড়ের বিগ ফ্যান হোন তাহলে তো কথাই নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা, একটা ফ্রি বিদেশি ডিগ্রি আপনার লাইফ চেইঞ্জ করে দিতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ