২ সন্তান রেখে লাপাত্তা প্রবাসীর স্ত্রী

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩

কুলাউড়ায় ২ সন্তান রেখে এক প্রবাসীর স্ত্রী উধাও হয়েছেন। ৪ সপ্তাহ থেকে ত্রিশোর্ধ্ব নারী দিলারা বেগমের বাড়িছাড়া নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। তিনি উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের বাসিন্দা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী জুনাব আলীর স্ত্রী।

এদিকে প্রবাসীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয় তিনি (প্রবাসীর স্ত্রী) আত্মগোপনে থেকে অপহরণ কিংবা গুম নাটক করছেন। যাতে তাদের হয়রানি করা না হয়। দিলারা বেগম আত্মগোপনে না উধাও হলেন- এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী ও কর্মধা ইউনিয়নের জুনাব আলীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের টাট্টিউলি গ্রামের মৃত লতিফ মিয়ার মেয়ে দিলারা বেগমের ১২-১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। আল আমিন (১০) ও আমিনুল (৭) নামক তাদের ২ ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত ২৫শে মে রাতে ২ সন্তানকে ঘুমে রেখে উধাও হন দিলারা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন প্রবাসী জুনাব আলীর ভাই আইয়ুব আলী।

তিনি বলেন, ভাই বিদেশে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী দিলারা বেগম পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।

বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। এরমধ্যে স্ত্রীর কিছু অশ্লীল ভিডিও পান স্বামী। জুনাব আলী প্রবাস থেকে গত ২৪শে মে স্ত্রী দিলারা বেগমকে তালাক প্রদান করেন। তালাকনামা ডাকযোগে স্ত্রী’র পিতার বাড়িতে পৌঁছলে দিলারা বেগম স্বামীর পরিবারের লোকজনকে গালাগালি করেন। ২ সন্তানকে নিজ হাতে জবাই করার এবং নিজে আত্মহত্যার হুমকি দেন। কিন্তু হঠাৎ করে ২৫শে মে রাতে ২ সন্তানকে ঘুমে রেখে উধাও হন দিলারা বেগম। এদিকে গত ২০শে জুন সংবাদ সম্মেলনে দিলারা বেগমের বড় ছেলে ১০ বছর বয়সী আল আমিন জানান, ওইদিন রাতে তার মামা কুটন মিয়া তাদের বাড়িতে আসেন।

 

মামা ও তার মা অন্য রুমে কথা বলার সময় তারা দুই ভাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে না পেয়ে বিষয়টি চাচা ও ফুফুদের জানায়। প্রবাসীর ভাই আকবর আলী, বোন ফজিরুন বেগম ও ভাগ্নে ইসমাইল আলী জানান, দিলারা বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তার ভাই কুটন মিয়া এলাকায় প্রচারণা এবং প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারেরও ভয় দেখাচ্ছেন। এ বিষয়ে দিলারা বেগমের ভাই কুটন মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল দিলে তার স্ত্রী জানান, তিনি ফোন রেখে কাজে গেছেন। আমি এসব বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক জানান, প্রবাসীর স্ত্রী অপহরণ বা নিরুদ্দেশ এমন কোনো ঘটনায় কোনো পরিবার লিখিত বা মৌখিকভাবে আমাকে অবগত করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ