বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রায়, অনিয়মিত ডায়েট এবং স্ট্রেসের কারণে এটি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, এই সমস্যা দিনে দিনে বাড়ছে। আর শারীরিক সম্পর্ক (যৌন সম্পর্ক) মোটেও হেলাফেলা করার মতো বিষয় নয়।
রিডার্স ডায়জেস্ট-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুস্থ, স্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের ফলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, মেদ কমে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এর ফলে বাড়ে আয়ু। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, বয়স একটু বেড়ে গেলেই যৌনতায় অনিচ্ছা চলে আসে বহু মানুষের। অনেক সময় তা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও হতে পারে। কিন্তু জানেন কি, সুস্থ যৌন মিলনের জন্য সবচেয়ে ভাল সময় কোনটি? হরমোন বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়টি হল দুপুর ৩টে।
আরো পড়ুন যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যে যে খাবার খাওয়া উচিত
দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে শরীরে হরমোনের মাত্রা বাড়ে-কমে। তাহলে দুপুর ৩টে নাগাদ কী এমন বিশেষ পরিবর্তন হয় আমাদের শরীরে, যে কারণে বিশেষজ্ঞরা এই সময়কে সুস্থ যৌন মিলনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন? এ সময়ে মেয়েদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয়। এতে তাদের শক্তি ও মনোযোগ বেশি থাকে। অন্যদিকে একই সময়ে পুরুষের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে, ফলে তারা যৌনতার সময়ে সঙ্গীর চাহিদা ও অনুভূতির প্রতি বেশি মনযোগী হয়ে থাকেন। ফলে এ সময় শারীরিক সম্পর্কের সুফল পান দু’জনেই।
হরমোন বিশেষজ্ঞ এবং বিখ্যাত ‘ওম্যানকোড’ (WomanCode) বইয়ের লেখিকা এলিসা ভিটি (Alisa Vitti) জানান, সন্তুষ্টিজনক যৌনতার জন্য এমন উপায় বেছে নিতে হয় যাতে দু’জনেরই যৌন চাহিদা একই মাত্রায় থাকে। এই কারণেই বিকেল ৩টে নাগাদ যৌনতা সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টিজনক হয়। এলিসার মতে, যৌন জীবনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের উপস্থিতি। আমাদের অনুভূতির ওপরেও অনেকটা প্রভাব ফেলে এই হরমোন। এই সব কারণেই দুপুর ৩টে নাগাদ যৌনতার সূচনা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই বিশেষ উপকারী।
সুস্থ যৌন মিলনের জন্য আরেকটি ভাল সময় হল সকালবেলা। এলিসা ভিটির মতে, ঘুমের মধ্যে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে সকালে তারা যৌন মিলনের জন্য অনেক বেশি আগ্রহী থাকে এবং এর ফলে দুই পক্ষেরই যৌন সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায়। ইতালীয় একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সন্তান ধারণে ইচ্ছুক দম্পতিদের জন্যও সকালবেলা অত্যন্ত ভাল সময়। শুধু তাই নয়, সকালে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।