বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সবুজ কাজী (২৬) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি বাজার সংলগ্ন একটি মৎস্য আড়তে আটকে রেখে মারপিট করে প্রতিপক্ষরা। প্রায় দেড়ঘন্টা পরে পুলিশের সহায়তায় সবুজকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনেরা।
আহত সবুজ কাজী মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামের লোকমান কাজীর ছেলে। সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবুজ কাজী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। গতকাল রাতে চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের বাজার করে খুলনা থেকে ফিরছিলাম। দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় সৌরভ, শাওন, আব্দুল্লাহ ও চায়ের দোকানদার বাবু আমাকে জোরপূর্বক অটো থেকে নামিয়ে পাশের মৎস্য আড়তে নিয়ে যায়। সেখানে আমার চোখ বেঁধে এবং জামা-প্যান্ট খুলে প্রচুর মারধর করে। রডের বাড়িতে আমার মাথা ফেটে গেছে, পায়ের হাড়ের মধ্যে রড ঢুকে গেছে।
সবুজ আরও বলেন, আমি সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি, এটা জানার পরেও ওরা আমাকে মেরেছে। আমার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
সবুজ কাজীর স্ত্রী বিথি আক্তার বলেন, রাতে মুঠোফোনে খবর পেয়ে মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখি আমার স্বামী শুধু একটা শর্টপ্যান্ট পরা। দেখে মনে হচ্ছে মারা গেছে। এভাবে মানুষ মানুষকে মারে? দেখার মত অবস্থা নেই। সবুজের কাছে থাকা ৪২ হাজার টাকা ও দুটো মুঠোফোন নিয়েছে হামলাকারীরা।
সবুজের মা শেফালী বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের বিচার চাই।
সেলিমাবাদ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ কাজীর উপর হামলাকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এস এম জব্বার ফারুকী বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করছি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।