ইউটিউবে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ঢাকা-১৭ থেকে উপনির্বাচন করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে।
রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়ন বাছাই শেষে এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যেকোনো সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হলে এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই এক শতাংশ ভোটার ও তাদের স্বাক্ষর নিতে পারেননি তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি দল সরেজমিন ঘুরে হিরো আলমের দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের হদিস পায়নি। এজন্যই তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোট ১৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে সাত জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেছেন, যতবারই নির্বাচনে দাঁড়াই আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। প্রতিটাবারই কেন বাতিল করা হয় আমি জানি না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভয়-ই পায় কিনা জানি না। এর আগেও দুবার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। হাইকোর্টে থেকে এনে ভোটও করেছি, ভোটে জিতেছি; ফলাফল জিরো।
কেন প্রার্থিতা বাতিল হলো, জানতে চাইলে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করে বলেন, ‘তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিল, ঋণখেলাপি, মামলা কিছু বের করতে পারেনি। তারা বলছে, আমি যে ভোটারদের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম, তাদের তারা খুঁজে পায়নি। স্বাক্ষর করাদের মধ্যে তিন জনতো আমার সঙ্গেই ছিল। সেটা দেখতে বললাম, দেখল না।’
তিনি বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশনের লোকজন) এলাকায় গিয়ে নাকি স্বাক্ষরকারী ভোটারদের খুঁজে পায়নি। তারা গুলশান-বনানী এলাকায় না গিয়ে বস্তি এলাকায় গেছে। সেখানে চায়ের দোকানি যখন শুনেছে তাকে খুঁজতে পুলিশ আসছে, তখন সে কিছু না ভেবেই পালিয়ে গেছে। ৬ জন পুলিশ সঙ্গে নিয়ে গেলে কে আপনাকে তথ্য দেবে। আমার সঙ্গে তারা অন্যায় করল।