কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রার সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের অধিকাংশই নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ফেনী শহরের ইসলামপুর রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
পরে সংঘর্ষে যোগ দেয় আওয়ামী লীগও। এতে শহরের খেঁজুর চত্তর থেকে শহীদ শহিদুল্লহ কায়সার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহে মোহনা টিভি ও স্থানীয় দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয়, মুস্তাফিজ মুরাদ, ফেনীর তালাস প্রতিনিধি আকাশ, মানবজমিন ফেনী প্রতিনিধি নাজমুর হক শামীম আহত হন।
আহত সংবাদকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে শহরের প্রবেশ পথের দাউদপুর এলাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ভিপি জয়নালের নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু করে জেলা বিএনপি। পদযাত্রাটি শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খেঁজুর চত্তর হয়ে ইসলামপুর রেডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছায়।
সেখানে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে হঠাৎ সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ।
একই সময় খেঁজুর চত্তর এলাকার ফেনী শহিদ মিনারের সামনে উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা করছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে এক পর্যায়ে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
ত্রিমুখী এই সংঘর্ষে শহরে তৈরি হয় রণক্ষেত্র। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে টিআর শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনায় ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ উদ্দিন বাহার অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাটি ইসলামপুর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার সময় পুলিশ অতর্কিত টিআরশেল নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করে।
বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরজুড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।