৯০ শতাংশ শিশু ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি দেখেছে!

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৯০ শতাংশ কমপক্ষে একবার ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি দেখেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘অনলাইনে বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম লতিফ এ তথ্য জানান।

গ্রামীণফোন, টেলেনর ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে যুগ্ম সচিব এস এম লতিফ বলেন, ‘বর্তমানে ছেলে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিষয়টি ভালো হলেও আমরা জাতি হিসেবে এতই অভাগা যে খারপ জিনিসটাই আমরা গ্রহণ করি।

এস এম লতিফ বলেন, ইন্টারনেট একটা আসক্তি। এই আসক্তি থেকে শিশুদের মুক্ত করতে কেন ইউনিসেফ বা সরকার অর্থায়ন করবে? ফেসবুক বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের জন্য যারা অর্থ পাচ্ছে, তাদের উচিত এই আসক্ত শিশুদের জন্য রিহ্যাবিলিটি সেন্টার তৈরি করা।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে শিশুর অনলাইন সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে কিশোর-কিশোরীদের জড়িত করা’ শীর্ষক গবেষণাপত্র তুলে ধরেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনিরা হাসান। তিনি বলেন, প্রকল্পটির বড় একটি অর্জন ছিল দক্ষতা বাড়ানো। প্রকল্পের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে পাঁচ লাখের বেশি শিশু, ৭৩ হাজারের বেশি শিক্ষক এবং ৫০ হাজারেরও বেশি অভিভাবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মীনা কার্টুনের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে কনটেন্টগুলো জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম এবং টিচার্স গাইডে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে কাজ চলমান।

মনিরা হাসান বলেন, ‘দেশের ১০ থেকে ১৯ বছরের শিশুদের মধ্যে ৭২ শতাংশ ছেলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এসব শিশু ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে খাদ্যগ্রহণসহ মৌলিক পাঁচ বিষয়ে পিছিয়ে থাকে বলে আমার বিশ্বাস। এ ছাড়া বাড়ছে সাইবার বুলিং। তাই আমাদের সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে নিজস্ব গবেষণা উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সার্চ লিমিটেডের টিম লিডার শুয়াইব মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ইন্টারনেটে সচেতনতা বিষয়ে শিশুরা কতটুকু জানে, কতটুকু অনুভব করে এবং কতটুকু প্রয়োগ করে, এটাই ছিল গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। গবেষণায় দেখা যায়, যাদের আর্থিক অবস্থা তুলনামূলক খারাপ, তারা ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনে তিনি জানান, ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে রয়েছে। প্রায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থীই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ছেলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৭২ শতাংশ, মেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৬৩ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহার শুরুর দিক থেকে ১৩-১৫ বছর বয়সীরাই এগিয়ে। এ বয়সেই ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করে প্রায় ৫৬ শতাংশ। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে সপ্তাহে ছয় থেকে সাত দিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৫৮ শতাংশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ