দিনশেষে কাঁদতে না চাইলে জেনে নিন সহজে প্রবাসীদের টাকা জমানোর উপায়
কথায় আছে “তারই গায়ে লাগে, যে টাকা কামায়”! আপনার পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থ দেশে খুব দ্রুত খরচ হয়ে যাচ্ছে। হিসাবে কিংবা বেহিসাবে বিভিন্ন খাতেই খরচ করছে আপনার পরিবার। কিন্তু দিনশেষে যে আপনারও কিছু অর্থের প্রয়োজন পড়তে পারে, জীবনের কোনো এক দুঃসময়ে যে আপনারও কিছু অর্থের জন্যে সকলে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতে পারে…তা নিয়ে কেউই ভাবছে না। এমতাবস্থায় একজন প্রবাসী হিসাবে আপনার জানা উচিত প্রবাসীদের টাকা জমানোর উপায়। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাই।
প্রবাসীরা ও পেনশন পাবেন প্রবাসী স্কিম
বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করে একটি সেভিংস একাউন্ট খুলে রাখবেন। অন্তত মাসে যেনো ৫০০/- জমে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর বেশি হলে তো আরো ভালো! তবে খুব কম এমাউন্ট থেকে শুরু করলে প্রবাসীদের টাকা জমানোর এই যাত্রা অনেক সহজ হবে। এই সেভিংস একাউন্ট খোলার বিষয়টিকে আমরা প্রবাসীদের টাকা জমানোর উপায়ের ১ম অংশ হিসাবে ধরে নিতে পারি৷
আপনি একজন প্রবাসী। একজন প্রবাসী হিসাবে কষ্টের উপার্জনের সকল টাকা দেশে পাঠিয়ে দেবেন না। কিছু টাকা নিজের হাত খরচের জন্যে এবং সেভিংস করার জন্যে রাখবেন৷ পাশাপাশি টাকা পাঠাবেন হিসাব করে। সেই সাথে টাকা পাঠানোর হিসাব নিজের পার্সোনাল ডায়েরিতে টুকে রাখবেন।
প্রবাসীদের টাকা জমানোর উপায় হিসাবে একটা সেভিংস আপনি ব্যাংকে শুরু করবেন এবং অন্য আরেকটি সেভিংস আপনি বিদেশের মাটিতে শুরু করবেন। এক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট খুলে বিকাশেই টাকা জমাতে পারেন।
নিজের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকলে প্রবাসীদের টাকা জমানোর উপায় হিসাবে ভালো দেখে জমি কিনে রাখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে জমি কেনার সময় অবশ্যই তা ভালোভাবে যাচাই করবেন এবং নিজের নামে তা কিনবেন।
সবচেয়ে ভালো হয় সারাবছর বিদেশে টাকা জমিয়ে ছুটিতে দেশে এসে নিজে যাচাই করে নিজের নামেই জমি কিনতে পারলে। এতে করে আপনার টাকাটা নিরাপদে থাকবে এবং প্রয়োজন পড়লে ভালো ক্রেতা দেখে বিক্রি করে দিতে পারবেন।
স্বর্ণ এমন একটি বস্তু যা যার কাছে থাকে, তার কাছে তা শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবেই বিবেচিত হয়। সৌদি আরবে যারা আছেন তারা কিন্তু সামান্য টাকা জমলেই স্বর্ণ কিনে রাখতে পারেন। যেহেতু এটি ছোট বস্তু সেহেতু নিজের কাছে সামলে রাখাটা বেশ সহজ হবে।
অনেক প্রবাসী আছেন যারা প্রবাসীদের টাকা জমানোর উপায় অবলম্বন করা তো দূরে থাক বরং হাত খুলে খরচ করতে পছন্দ করেন। ফলে দিনশেষে দূর্ভাগ্যবশত দেশে ফিরে কান্নার প্রহর গুনতে হয়। সুতরাং অতিরিক্ত বিলাসী না হয়ে কিভাবে দু’চার টাকা সেইভ করা যায় সে ব্যবস্থা করুন৷
একজন প্রবাসী হিসাবে টাকা জমাতে চাইলে আপনি দেশীয় ব্যাংকগুলির সাহায্য নিতে পারেন। বিশেষ করে ইসলামি ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের কথা বলতে পারি। এই ব্যাংকের সার্ভিস কিন্তু অনেক ভালো। আশা করি টাকা জমিয়ে আশাহত হতে হবে না।
টাকা না জমিয়ে টাকার মালিক নিজে হতে প্রবাস থেকেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অথবা পার্টনার হিসাবে কোনো ব্যবসায়ীকে টাকা দিয়ে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টাকা কারো হাতে দিতে না চাইলে নিজেই অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে ব্লগিং, প্রোডাক্ট সেলিং কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
কিভাবে সর্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করবেন
সর্বজনীন পেনশন চালু প্রবাসীরা ও পেনশন পাবেন প্রবাসী স্কিম
সর্বজনীন পেনশন নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন
প্রবাসীদের টাকা জমানোর উপায় সম্পর্কে তো জানলেন। এভাবে সেভিংস শুরু করে দেবার পালা। মনে রাখবেন আপনার আজকের জমানো দু’চার টাকা দিনশেষে আপনারই কাজে লাগবে। তাছাড়া অসহায় অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার সাহায্যের পাশাপাশি যে জিনিসটি বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয় সেটি হলো টাকা।