স্ত্রীলোকদের মাসিক ঋতুস্রাবকে হায়েজ বলে। হায়েজের সময় সহবাস, নামাজ, রোজা, কুরআন স্পর্শসহ অনেক ইবাদত-বন্দেগিই নিষিদ্ধ।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘তারা আপনার কাছে হায়েজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলে দিন, সেটা কষ্টকর মুহূর্ত। সুতরাং তোমরা হায়েজকালে যৌনমিলন করবে না, পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত। তারা যখন পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট ঠিক সেভাবে গমন করবে যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন।’ (সুরা বাকারা : ২২২)।
মাসিক অবস্থায় জেনেশুনে স্ত্রীর যোনিপথে সহবাস করা হারাম। কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍﷺ
যে ব্যক্তি ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করে অথবা স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করে অথবা গণকের নিকটে যায় সে মুহাম্মাদ ﷺ -এর ওপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (কুরআন) অবিশ্বাস করে। (জামে তিরমিযী ১৩ ইবনু মাজাহ ৬৩৯)
তবে এ অবস্থায় যোনি ব্যবহার ও পুংমৈথন ছাড়া অন্য সব উপায়ে স্ত্রী থেকে যৌনসুখ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। হাদীস শরীফে এসেছে, ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلا النِّكَاحَ
সহবাস ব্যতীত তার সাথে সবকিছু কর। (মুসলিম ৩০২)
আইয়ামে বীজ এর রোজা রাখলে পুরা বছরের সওয়াব পাওয়া যায়
কোনো ব্যক্তি যদি স্ত্রীর মাসিক চলা অবস্থায় জেনেশুনে তার সঙ্গে সহবাস করতে চায় তাহলে ইসলামের শিক্ষা হল,لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق অর্থাৎ, আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা যেখানে আসবে, সেখানে সৃষ্টির আনুগত্য কোনো অবস্থাতেই করা যাবেনা। সুতরাং স্ত্রী কোনোভাবেই স্বামীর এ কাজে সাড়া দিতে পারবে না; বরং তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবে। যদি সে না শুনে তাহলে প্রয়োজনে সে এর জন্য স্বামীর নিকট তালাকের দাবীও করতে পারবে। (মাজমুু’উল ফাতাওয়া ৩২/২৬৭)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের স্ত্রীদের ঋতুস্রাবকালীন সময়ে তাদের সঙ্গে সহবাস ব্যতীত যাবতীয় জাগতিক কাজ-কর্মে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার তাওফিক দান করুন।