সহবাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে শরীরের উপর। কত দিন অন্তর সহবাস করা উচিত? না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
1/6বিবাহিত বা প্রেম জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল যৌনতা। কিন্তু এই শারীরিক সম্পর্কের গোটাটাই কি তাৎক্ষণিক? নাকি এর কোনও সুদূরপ্রসারী ভূমিকা আছে? হালে এই নিয়ে দু’টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এবং দু’টিতেই বলা হয়েছে, যাঁদের সঙ্গী বা সঙ্গিনী রয়েছেন, তাঁদের কেন নিয়মিত যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত।
2/6পেনসিলভেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাঁদের গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, একটি সমীক্ষায় স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওযা গিয়েছে, সক্রিয় যৌন জীবনের অধিকারীদের মধ্যে জীবাণু ও ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে বেশি। এমনকী, তাঁদের দেহে তৈরি হওয়া বিভিন্ন রোগের অ্যান্টিবডির পরিমাণও বেশি।
3/6ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রও দিচ্ছে একই ইঙ্গিত। এখানকার গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছেন, তাঁরা অনেক বেশি সুস্থ থেকেছেন অন্যদের তুলনায়। গবেষণা বলছে, নিয়মিত যৌনতায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় আইজিএ নামক অ্যান্টিবডি। ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে অনেকটাই।
4/6হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে যৌনসম্পর্ক। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত শরীরচর্চার সময় না পেলে যৌনতাই হয়ে উঠতে পারে শরীরচর্চার বিকল্প, মত বিশেষজ্ঞদের। গবেষকদের মতে, পঞ্চাশোর্ধ মানুষদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে যৌনতা হয়ে উঠতে পারে মুশকিল আসান। নারীদের রক্তচাপের সমস্যা কমাতেও অনেকটাই সহায়তা করে নিয়মিত যৌনতা।
5/6এছাড়াও পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয় নিয়মিত যৌনতা। গবেষকদের মতে, যে পুরুষরা মাসে অন্তত ২১ বার বীর্য ত্যাগ করেন, তাঁদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
6/6মোটামুটি কত বার শারীরিক সম্পর্কের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা? তাঁদের মতে, সপ্তাহে দু’বার থেকে তিন বার এই সম্পর্কে যাওয়া দু’জনের জন্যই ভালো। এতে নানা ধরনের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কোনও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলছেন তাঁরা।