প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে মাদরাসা শিক্ষক, জনতার হাতে ধরা

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩

দীর্ঘদিন স্বামী প্রবাসী। তাই একাকীত্বের যন্ত্রণা মেটাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকেছিলেন এক মাদরাসা শিক্ষক! কিন্তু বেরসিক স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে রীতিমতো সেলামি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছার বাঁয়সা ফকির মোড় এলাকার দফাদারপাড়ায় মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে। যা টক অব দ্য বায়সায় পরিণত হয়েছে।

আটক শিক্ষক লিয়াকত আলী ওই এলাকায় পল্লী চিকিৎসক হিসেবেও পরিচিত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দফাদারপাড়ার ওই প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাস থাকেন। সে সময় থেকে পরিবারের আর্থিক লেনদেনসহ পুরো পরিবারের দায়িত্ব পালন করছিলেন লিয়াকত আলী। এর একপর্যায়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার তাদেরকে হাতেনাতে ধরেছে প্রতিবেশীরা।

বায়সা ফকির মোড় এলাকায় গেলে দেখা যায়, সবার মুখে মুখে এ ঘটনা। যা নিয়ে রসিকতার পাশাপাশি শিক্ষকের এমন কান্ডে মানুষের নৈতিকতার বিষয়টিও সমালোচনা করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চা দোকানি বলেন, ঘটনার সাথে সাথে গিয়ে দেখি লিয়াকত মাস্টার আটকানো রয়েছে। পরে কিছু ‘হায়েনারা’ দেড় লাখ টাকা নিয়ে ঘটনা ডিসমিস করে দেয়।

পলাশ হোসেন নামে এক যুবক জানান, ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে লিয়াকত ডাক্তার ওই মহিলার ঘরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। আমরা সেখানে গিয়ে তাকে আটক করি।

তবে ঘটনা মিথ্যা দাবি করে প্রবাসীর ওই স্ত্রী বলেন, আমি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। ওরা গেট খুলতে বললে খুলে দেই এবং দেখি লিয়াকত ডাক্তারকে ধরে এনেছে। পরে শাহীন মাস্তান আমার কাছ থেকে দুটি সোনার দুল ও একটি গলার হার নিয়ে চলে যায়।

শাহীন বলেন, অনৈতিক কাজের সময় প্রতিবেশীদের নিয়ে লিয়াকত ডাক্তার ও ওই মহিলাকে ধরে ফেলি। সোনার কোনো কিছু আমরা গ্রহন করিনি। এখন শুনছি পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিটমাট করেছেন।

অভিযুক্ত লিয়াকত আলী বলেন, আমি ওই দিন রাতে রোগী দেখে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে নেশা করে দুইজন ছেলে আমার কাছে টাকা দাবি করে। দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লোকজন ডেকে আমার পরে এ দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ