২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আবারো মেসির সামনে সুযোগ আসলো বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের। দুর্দান্ত মেসি যেভাবে আগাচ্ছেন তাতে বোধহয় ভাগ্যদেবতা তার দিকে মুখ তুলে তাকাতেও পারেন।
দুই পরিবর্তন নিয়ে এদিন একাদশ সাজান আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি। কিন্তু ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই মিডফিল্ডে আধিপত্য দেখিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের শুরু থেকে ক্রোয়েশিয়া বল দখলে রাখলেও ম্যাচের সুযোগ তৈরি করতে পারতেছিল না ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে দারুণভাবে মাঝমাঠ থেকে একা বল নিয়ে ডিবক্সের ভেতরে ডিফেন্ডার ভার্ডিওলকে কাটিয়ে ডিবক্সের ভেতর আলভারেজকে পাস দিলে দারুণ ফিনিশিংয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে এটি আলভারেজের ৪র্থ গোল। এবং মেসির ৮ম এসিস্ট।
৩ গোলে পিছিয়ে থেকে গোল শোধের চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া। ৭৬ মিনিটে পেরেসিচের দূরপাল্লার দারুণ শট সেভ করেন এমি মার্টিনেজ। ৭৮ নিনিটে আবারো ওরসিচের শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে।
৮৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পেলে দ্রুত কিক নিয়ে বল ডি বক্সের ভেতরে পান ম্যাকএলিস্টার। তার ডান পায়ের শট বাম গোল বারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। শেষ দিকে ক্রোয়েটরা চেষ্টা করলেও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। ফলে ৩-০ গোলের জয়ে আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা।