রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রানা (৩০) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার সম্রাট ও তার ভাগ্নে শিশু মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তারা দুজনই পলাতক।
শনিবার (১৯শে নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পারগেন্ডারিয়া ঋষি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রানা একটি ডক ইয়ার্ডে কাজ করতেন। তিনিপারগেন্ডারিয়া এলাকার ঋষিপাড়ার ভুট্টু মিয়ার পুত্র। তিনি ঐ এলাকায় পরিবারসহ একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রানার স্ত্রী ও একটি সাত বছরের ছেলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত রানার চাচাতো ভাই রাসেল বলেন, কথা কাটাকাটির একটা ঘটনা রানা মিয়াকে অবগত করে শুক্কুর। পরে রানা বিষয়টি জানতে সম্রাট ও তার ভাগ্নে শিশু মিয়ার কাছে যান। এসময় রানার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যায় মামা-ভাগ্নে। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে রানাকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে সম্রাট। এসময় শিশুমিয়া তাকে সহযোগিতা করে। তখন ঘটনাস্থলে আমার চাচাতো ভাই রানা মারা যায়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সম্রাট ও শিশুমিয়াকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে মামুন নামের আরেক ব্যক্তি। সম্রাট ভাঙ্গারি টোকায় ও শিশুমিয়া গাড়ি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, তুচ্ছ বিষয়ে মামা-ভাগ্নে রানাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রানাকে চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইকুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একলাছ উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। সম্রাট ও শিশু মিয়া রানাকে এলোপাথাড়ি ছুড়ি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে রানার মৃত্যু হয়। হত্যার সঙ্গে জড়িত দুজনেই পলাতক। তাদেরকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।