সারা বাংলাদেশ এবং তার বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ আকর্ষণের জায়গা হলো এই চবি বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতি বছরের মতো এই ২৩ সালেও চলবে ভর্তি পরীক্ষা। আসুন তবে আজ চবি ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানি।
চবি ভর্তি পরীক্ষার নিয়মিত আপডেট বা বিজ্ঞাপন পেতে আপনাকে চোখ রাখতে হবে admission.cu.ac.bd নামের ওয়েবসাইটটিতে। বলে রাখা ভালো এটি চবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্তরা চাইলেই কলা, বিজ্ঞান, ব্যবসা, প্রকৌশল এবং আইনসহ যেকোনো একটি বিভাগে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া এখানে ৬ টি ইউনিটের আন্ডারে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে সাথেই থাকুন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সমূহ হলো:
সাধারণত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা নির্ধারিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটের উপর। অর্থ্যাৎ এক এক ইউনিটে আপনি একেক যোগ্যতা রিলেটেড পয়েন্ট পাবেন। সুতরাং চলুন ইউনিট অনুযায়ী দেখে নিই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতাগুলি:
এ ইউনিট: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা হিসাবে আপনার রেজাল্ট জিপিএ ৮.০০ হতে হবে এবং সেই সাথে নিশ্চিত করতে হবে আপনি প্রত্যেক পরীক্ষায় আলাদাভাবে অবশ্যই ৪.০০ পেয়েছেন।
বি ইউনিট: সাইন্সের স্টুডেন্ট হিসাবে আপনার যদি এইচএসসি এবং এসএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ ৮.০০ না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি এই ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। তাছাড়া একইসাথে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে দুটো পাবলিক পরীক্ষাতেই যেনো আপনার ৩.৫০ পয়েন্ট থাকে। আর যারা আর্টসের স্টুডেন্ট তাদের দুটো পরীক্ষা থাকতে হবে মোট জিপিএ ৭.৫০। প্রতি পরীক্ষাতেই পেতে হবে ৩.০০ পয়েন্ট। সবশেষে আসি কমার্সের স্টুডেন্টদের বেলায়। এই ক্যাটাগরির স্টুডেন্টরা জিপিএ ৮.০০ ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারবেন না। দু’টোতেই পেতে হবে ৩.৫০ পয়েন্ট করে।
বি-১ ইউনিট: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা হিসাবে আপনাকে বি-১ ইউনিটের ক্ষেত্রে বি ইউনিটের পয়েন্টগুলি মাথায় রাখলেই হবে।
সি ইউনিট: কোনো শিক্ষার্থী যদি চবির সি ইউনিটে পরীক্ষা দিতে চায় সেক্ষেত্রে তার দুটোতেই আলাদাভাবে ৩.০০ করে অর্জন করে মোট জিপিএর পরিমাণ হতে হবে ৮.০০ এর উপরে।
ডি ইউনিট এবং ডি-১ ইউনিট: আপনার ঝুলিতে যদি দুটো পাবলিক পরীক্ষা মিলিয়ে জিপিএ ৭.৫০ থাকে সেক্ষেত্রে এই দু’টো ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে দুটোতেই আলাদা আলাদাভাবে ২.৫০ পয়েন্ট পেতে হবে।
যদিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ বা পরিবর্তনের বিষয়টি পুরোপুরি কতৃপক্ষের হাতে!
তবে ধারণা করা হচ্ছে ১৬ ও ১৭ মে বিজ্ঞান অনুষদ, ১৮ ও ১৯ মে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ, ২০ মে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ এবং সবশেষে ২২ মে উন্মুক্ত অনুষদের পরীক্ষা আয়োজিত হবে।
পাশাপাশি ধারণা করা হচ্ছে এবারের পরীক্ষা গতবারের দুপুরে এবং সকালে না হয়ে কেবল একবেলা অর্থ্যাৎ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে আয়োজিত হবে।
আশা করি চবি ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই আপনি বেশ ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। মনে রাখবেন যেকোনো পাবলিক পরীক্ষাতে প্রিপারেশনের ব্যাপারে যেমন সতর্ক থাকতে হবে ঠিক তেমনই সতর্ক থাকতে হবে আবেদনের তারিখ পেছানোর বিষয়েও।
যাতে দিনশেষে কোনো ক্ষেত্রেই কোনো আফসোস কাজ না করে! আগামীর পাবলিকিয়ান হিসাবে আপনার প্রতি রইলো প্রাণঢালা শুভ কামনা!