দালালের প্রলোভনে সৌদি আরবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। মোটা অংকের বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সৌদি আনলেও মিলছে না তা। এমনকি আকামার মেয়াদ শেষে অবৈধ হয়ে পড়ায় অনেকের হচ্ছে জেল জরিমানা।
উন্নত জীবনের আশায় সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়ে এখন দিশেহারা অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। কাজের সন্ধানে ঘুরছেন পথে পথে। রাস্তার ধারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
চাকরি খুঁজতে খুঁজতে আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কেউ কেউ হয়ে পড়ছেন অবৈধ। আর যারা কাজ পাচ্ছেন বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য বেতন থেকে। বেকারত্ব ঘোঁচাতে নিম্নমানের কাজ জোটালেও দেখা দিচ্ছে বিপত্তি। ভিসার পেশার সঙ্গে কাজে মিল না থাকলে আর্থিক জরিমানাসহ জেলে যেতে হচ্ছে তাদের।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, হোটেলের কাজ দিসে, পাঁচমাস ধরে আমি বেতন পাই না, অনে কি করুম। কাজ কাম পাইনা এখন আমি কি করব। আরেকজন বলেন, দালালের খপ্পরে পইড়া আইয়েন না। অরিজিন্যাল ভিসায় কোম্পানীতে কম বেতন পাইলে আসেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন উচ্চ শিক্ষিতরাও। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আত্মীয়দের প্রলোভনে সৌদি আসলেও পরে মিলছে না তাদের সন্ধান।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, এমন স্বপ্ন দেখান দেখাইছে যে আরামকো কোম্পানীতে ফোরম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। এক লাখ ৭০-৮০ হাজার টাকা বেতন। এখন আইসা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হইতেছে। কোনো কাজ টাজ নাই। থাকার কোনো জায়গা নাই, খাওয়ার কোনো জায়গা নাই।
এ বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বৈঠকে বিভিন্ন অপরাধে সৌদিতে কারাবন্দি বাংলাদেশিদের রাজকীয় ক্ষমা বিবেচনার কথা তোলেন তিনি। সেইসঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত।
ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য সৌদির প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। আর এতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের যুক্ত করতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।