বাহরাইনে স্ট্রোক করে মারা যান প্রবাসী সাহাব উদ্দিন (৪৩)। শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে তার মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এরপর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এক নজর সাহাব উদ্দিনের মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।
মৃত সাহাব উদ্দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জমিদারহাট এলাকার দীনেশগঞ্জ গ্রামের নাজমা কোম্পানীর বাড়ির মৃত মজিবুল হকের ছেলে।
মৃতের ভাই বাহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাতিজা সামির এতিম হয়ে গেছে। সে তার বাবাকে দেখেনি। এত বছর পর বাবার মরদেহ দেখে তার কান্নায় চারপাশ ভারি হয়ে উঠেছে। তার কান্না দেখে সবাই কান্না করেছে। মাঝে সে এতটা স্তব্ধ হয়ে ছিল সে আমরা ভয় পেয়েছিলাম। আসলে বাবাকে হারানোর বেদনা সে সইতে পারছে না।
সাহাব উদ্দিনের আরেক ভাই সেলিম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামির মাদরাসায় নাজরা বিভাগে পড়ে। তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকায় এতদিন সে বাবার আদর পায়নি। সামির প্রায় বলতো বাবা কবে বাড়িতে আসবেন। কিছুদিনের মধ্যে বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ যাত্রায় সামিরের মন ভেঙে গেছে। ছোট মানুষ, বাবা হারানোর শোক সইবার শক্তি তার নেই।
তার শ্বশুর সোলাইমান মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ের জামাই আসলেই সরল মনের মানুষ ছিলেন। তার মানসিকতা অনেক ভালো ছিল। আল্লাহ ভালো মানুষদের দ্রুত নিয়ে যান। আমার মেয়ে ও নাতনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। নাতি সামিরের কান্নায় চারপাশ ভারি হয়ে উঠছে।