ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সমুদ্র উপকূল জেলা বরগুনায়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তত করা হয়েছে ৬৪২ টি আশ্রয়কেন্দ্র। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে তালতলীতে ২টি ও পাথরঘাটায় ১টি মুজিবকেল্লা। মাঠে রয়েছেন ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক।
বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলায় ১৮৫ টি, আমতলীতে ১১১ টি, তালতলীতে ৫৩ টি, পাথরঘাটায় ১২৪ টি, বেতাগীতে ১১৪ টি এবং বামনায় ৫৫ দিন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়াও ৩ টি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে তালতলীতে ২ টি ও পাথরঘাটায় ১টি।
এছাড়াও দুর্যোগ পরবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে জিআর খাদ্যশস্য, শুকনা খাবার, বিস্কুট, ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যয় মজুদ আছে। এরমধ্যে ২১৯.০৮ জিআর খাদ্যশস্য, ত্রাণ বাবদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ১ হাজার কার্টন শুকনো খাবার ও ৭০০ কার্টন বিস্কুট, ১৯০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহনির্মাণ বাবদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি আমরা। উপকূলীয় মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে সাগরে নিষেধাজ্ঞা চলায় সব জেলেরা নিরাপদে আছেন। যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়টি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এতে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।