সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে স্ত্রী, দুই মেয়ে, ছেলে ও মেয়ে জামাইয়ের হাতে ফরিদপুরের এক কৃষক নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪ অক্টোবর রাতে জেলার সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কৃষকের নাম খালেক সরদার (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের মজিদ সরকারের ছেলে। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে গত ১৪ অক্টোবর রাতে খালেক সরদারের সঙ্গে স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, মেয়ে রুনা আক্তার, সাবানা আক্তার ও তার স্বামী রিয়াজুল এবং ছেলে সাব্বির সরদারের ঝগড়া হয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খালেককে তারা বেধড়ক মারপিট করেন। মারাত্মক আহত অবস্থায় ফরিদপুর একটি হাসপাতালে ও পরে ২৫ অক্টোবর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের বড়ো ভাই মালেক সরদার বলেন, জমির জন্য আমার ভাইকে রাতে বউ ছেলে-মেয়েরা বেধড়ক মারপিট করে গোপনে হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর আমার ভাইয়ের লাশ অ্যাম্বুলেন্স করে বাড়ি এনে কাউকে না জানিয়ে গোপনে দাফন করার পায়তারা করলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওদের ধরে নিয়ে যায়।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শেখ সাদিক বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলেকে থানায় আসা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।