দায়িত্বভার গ্রহণের ছয় সপ্তাহ না পেরোতে না পেরোতেই পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় ট্রাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা রাজা তৃতীয় চার্লসকে জানিয়েছেন তিনি।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ট্রাস বলেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীলতার সময়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। তবে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না বলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যদিও বুধবার (১৯ অক্টোবর) তার রাজনৈতিক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছিলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই লিজ ট্রাসের।
ট্যাক্স ইস্যুতে অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ারতেংয়ের পদত্যাগের পরই গুঞ্জন ওঠে প্রধানমন্ত্রীকেও শিগগির পদত্যাগ করতে হতে পারে।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগ চাইছিলেন তার নিজ দল ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৫৫ শতাংশ সদস্য। আর ৩৮ শতাংশ তাকে সমর্থন করেছেন। জরিপ সংস্থা ইউগভের এক জরিপে উঠে এসেছিল এমন তথ্য। খবর: স্কাই নিউজ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৫ শতাংশই জানিয়েছেন যে এ মুহূর্তে ভোট হলে তারা ঋষি সুনাককে ভোট দেবেন। ২৫ শতাংশ লিজ ট্রাসকে ভোট দেয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া লিজ ট্রাসের এখন পদত্যাগ করা উচিত বলেও মনে করেন ৫৫ শতাংশ। বিপরীতে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ৩৮ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেয়া ৬৩ শতাংশ মনে করেন, লিজ ট্রাসের জায়গায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। ৬২ শতাংশ বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের কথা। পেনি মর্ডান্টের কথা বলেছেন ৫৪ শতাংশ।
গত ১৭-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ জরিপে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৫৩০ জন সদস্য।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাস। ততদিন পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন।
এর মাধ্যমে কনজারভেটিভ পার্টি তাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে থাকবে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।