বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি হলো এই আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। যেটি মিশরের কায়রোতে অবস্থিত। বাংলাদেশের অনেকে ইতিমধ্যেই ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা এবং অন্যান্য বিষয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ঝুঁকছেন।
আপনিও কি তাদের মধ্যে একজন? যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে আমাদের আজকের এই আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাজানো গাইডলাইনটি আপনার জন্য। সাথেই থাকুন।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা
শুরুতে আলোচনা করা যাক আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি সম্পর্কে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। সো যারা কম খরচে স্কলারশিপ করতে চাচ্ছেন তারা এই আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের ডিগ্রিটি বেছে নিতে পারেন।
যাইহোক! মূলত স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন কোর্স এবং অনুষদের উপর নির্ভর করে বার্ষিক টিউশন ফি ধরা হয় আনুমানিক ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য, ফি সামান্য বেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর লাগতে পারে ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
টিউশন ফি ছাড়াও, বাংলাদেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্যান্য বিভিন্ন খরচের ব্যাপারেও জানা থাকতে হবে। যেমন:
রেজিস্ট্রেশন ফি
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর, শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫ হাজার টাকা প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয়। এই ফি প্রশাসনিক খরচ কভার করার জন্য কাজে লাগে। এর পাশাপাশি এই ফি সাধারণত এককালীন খরচ হিসেবে কতৃপক্ষকে দিতে হয়।
বই এবং অন্যান্য জিনিসপত্র
এরপর বই এবং একাডেমিক অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই, নোটবুক এবং অন্যান্য একাডেমিক উপকরণের জন্য বার্ষিক আনুমানিক ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা বাজেট করা উচিত। মনে রাখতে হবে এই পরিমাণ অর্থ কোর্স এবং প্রতিটি সেমিস্টারের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
চিকিৎসা খরচ
জানিয়ে রাখা ভালো আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর, প্রতিটি ছাত্রদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা করিয়ে নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীদের অসুস্থতা বা জরুরী অবস্থার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা পেতে এই বীমা করাতেই হবে। চিকিৎসা বীমার জন্য বার্ষিক খরচ হিসাবে প্রায় ৫ হাজার টাকা বাজেট করতে হবে। এই বীমার টাকায় শিক্ষার্থী পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা পরামর্শ, চিকিৎসা এবং জরুরী যত্ন পাবে।
স্কলারশিপ
আল-আজহার ইউনিভার্সিটি বিশেষ করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু স্কলারশিপ অফার করে থাকে। যার মধ্যে বাংলাদেশীদের জন্যেও বেশকিছু স্কলারশিপ রয়েছে। এসব স্কলারশিপ শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আর্থিক প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে টিউশন ফি এবং কখনও কখনও জীবনযাত্রার খরচও অনেকটা কমিয়ে আনা যায়।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনযাত্রার খরচ কত পড়বে তা নির্ভর করবে আপনি কিভাবে চলছেন তার উপর! তবে কায়রোতে থেকে এখানে পড়াশোনা করা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম খরচের। এক্ষেত্রে মাসিক ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। বিশেষ করে:
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো হোস্টেল সুবিধা রয়েছে। যেমন:
ভার্সিটির হোস্টেলগুলি আপনাকে শেয়ার্ড রুম অফার করবে। সাধারণত প্রতি কক্ষে ২ থেকে ৪ জন ছাত্র থাকে। প্রতিটি কক্ষ বিছানা, ডেস্ক এবং ওয়ারড্রোবের মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো থাকবে।
হোস্টেল পাওয়া যাবে দরকারি সব সাধারণ সুবিধা। যেমন স্টাডি রুম, লাইব্রেরি, ডাইনিং এরিয়া এবং এন্টারটেইনিং রুম পাওয়া যাবে। সাথে থাকবে Wi-Fi সুবিধা। পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষ ২৪/৭ দিনই স্টুডেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত চাহিদাকে মাথায় রেখে একবারে সাজানো গোছানোভাবে এই আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে:
অন-ক্যাম্পাস হাউজিং
ভার্সিটিতে রয়েছে অন-ক্যাম্পাস হাউজিং সুবিধা। এই সুবিধা বাজেট ফ্রেন্ডলি কারণে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। কারণ এটি যাতায়াতের সময় এবং অর্থ বাঁচায়।
অফ-ক্যাম্পাস হাউজিং
যারা আরও স্বাধীনতা চাইছেন অফ-ক্যাম্পাস হাউজিং বেছে নিতে পারেন। এই সিস্টেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত বাসস্থান খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
এবার আসি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবিধার ব্যাপারে। আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবিধাগুলি হলো: