যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে চান বা ভালো জব পেতে চান তাদের প্রত্যেকরই আইইএলটিএসে (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) পেতে হবে ভালো স্কোর। আর এই টেস্টে যে ৪ টি ক্যাটাগরি থাকে সে ৪ টি ক্যাটাগরিতেই দরকার ভোকাবুলারির উপর ভালো দখলদারিত্ব।
কিন্তু দিনশেষে স্টুডেন্টরা এসে যেনো ঠিক এখানেই আটকে যায়। এক শব্দ মুখস্থ হতে না হতেই ভুলতে শুরু করে অন্য আরেক শব্দ।
তবে মজার ব্যাপার হলো বর্তমানে বেশকিছু মাথানষ্ট টেকনিক বের হয়েছে যেসব টেকনিক ফলো করতে পারলে আইএলটিএস ভোকাবুলারি রপ্ত করাটা মনে হবে পানতাভাত! চলুন তবে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনাই যাই।
পড়ুন প্রচুর! তবে তা যেনো হয় নিয়মিত। বিভিন্ন বিষয় এবং শব্দভাণ্ডারে নিজেকে রিলেট করে করে পড়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে এই পড়ার সোর্স হিসাবে বাছাই করে নিতে পারেন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন কিংবা একাডেমিক কোনো সোর্স।
প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে যেসব শব্দ ইতিমধ্যেই শিখেছেন সেসব শব্দ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা বোঝার চেষ্টা করুন। শব্দগুলিকে ডেইলি লাইফে ধরে রাখা এবং প্রয়োগে করার ব্যাপারে সচেতন থাকুন। এতে করে আইএলটিএস ভোকাবুলারি রপ্ত করার এই মিশন বেশ সহজ হয়ে যাবে।
মনে রাখবেন আইইএলটিএস-এর জন্য ডিজাইন করা আলাদা ভোকাবুলারি আছে। যে তালিকায় প্রায়শই পরীক্ষায় পাওয়া শব্দগুলি অন্তর্ভুক্ত করা আকারে পাবেন। সুতরাং পরীক্ষা বা টেস্টে কমন পেতে এসব শব্দ অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
আপনি যখন বিষয়ভিত্তিক আইইএলটিএস ওয়ার্ড লিষ্ট তৈরি করবেন তখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা পরিবেশের মতো থিমের উপর ভিত্তি করে সেই তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন।
এমন শব্দভান্ডার শিখুন, যা IELTS পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবারই সাধারণ বিষয় বা থিম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
ফ্ল্যাশকার্ড হলো একদিকে শব্দ এবং অন্যদিকে বাক্য রেখে নোটবুক আকারে সাজানো বা আলাদা আলাদা স্টিকি নোটে এড করা। যে শব্দ শিখছেন সেই শব্দ ফোকাস করে একদিকে শব্দ এবং অন্য দিকে সংজ্ঞা বা উদাহরণ বাক্য সহ ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করুন।
আর হ্যাঁ আপনি চাইলে ডিজিটাল ফ্ল্যাশকার্ডের জন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে যখন তখন ডিভাইস বের করে প্র্যাকটিস করাটা সহজ হয়ে যাবে। স্পেসড রিপিটেশন সিস্টেমে ফ্ল্যাশকার্ড পড়ার চেষ্টা করবেন।
স্পেসড রিপিটেশন সিস্টেমে কোনোকিছু শিখলে তা বারবার রিপিট করে করেই শিখতে হয়। যা আপনাকে প্রতিটা শব্দ অনেকদিন মনে রাখতে সাহায্য করবে।
প্রকৃত পরীক্ষায় ব্যবহৃত শব্দভান্ডারের সাথে নিজেকে পরিচিত করতে নিয়মিত টেস্ট দিন। গুগলে সার্চ করলেই আইএলটিএস ভোকাবুলারি টেস্ট এক্সামের অনেক সাইট পাবেন।
এসব সাইটে নিয়মিত বিভিন্ন সেগমেন্টে টেস্ট নেওয়া হয়। টেস্ট নেওয়ার পর তারা আপনাকে আপনার মার্কসটিও জানিয়ে দেবে। সুতরাং অনলাইন দুনিয়ার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের আইএলটিএস ভোকাবুলারি স্কিলকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান।
কি? শুনতে খানিকটা অদ্ভুত লাগছে? লাগলেও এই টেকনিক আইএলটিএস ভোকাবুলারি রপ্ত করার ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
আজকাল গুগল প্লে স্টোরে আইএলটিএস ভোকাবুলারি রিলেটেড বিভিন্ন গেমস পাওয়া যায়। কাজ করতে করতে কিংবা পড়তে পড়তে আপনি যখন বোর ফিল করবেন ঠিক তখনই এসব গেমস ওপেন করে খেলতে পারেন। এতে করে আপনার আইএলটিএস ভোকাবুলারির ঝুলিটা অনেক বেশি ভারী হয়ে উঠবে।
সবশেষে বলবো আইএলটিএস ভোকাবুলারি অল্প সময়ের রপ্ত করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন এফেক্টিভ টেকনিক ফলো করা এবং নিয়মিত লেগে থাকা।
হয়তো যেই মুহূর্তে আপনি ভোকাবুলারি প্র্যাকটিস করা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন ঠিক সেই মুহূর্তের কিছু সময় পরই আপনি সফলতা ছুঁতে পারতেন।
সুতরাং যতদিন না পর্যন্ত আপনি প্রোপার আইএলটিএস ভোকাবুলারি প্রাপ্ত করতে না পারছেন ততদিন পর্যন্ত উপরোক্ত টেকনিকগুলি ফলো করতে থাকুন। আশা করি সফল হবেন।