১৩ টি রাজ্য নিয়ে গঠিত মালয়েশিয়া পর্যটনের দিক দিয়ে বেশ সমৃদ্ধ একটি স্থান। ঘোরার মতো স্থানের সংখ্যা নেহায়েত কম নেয় এখানে। যারা মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করতে চান তাদের মূলত মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করে, নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে তবেই সেখানে ঘুরতে যেতে হবে। চলুন তবে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা, ফি, মেয়াদসহ সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জেনে নেই।
শুরুতে জানবো মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন সম্পর্কিত তথ্য। শুরুতে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদনের যোগ্যতা হিসাবে আপনার মাঝে নিম্নোক্ত পয়েন্টগুলি আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এগুলি হলো:
যারা মালয়েশিয়া ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে চান তারা উপরোক্ত ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে নিকটস্থ কোনো ভিসা কেন্দ্রে চলে যাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই আপনার এই ভিসা প্রসেসিংয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
এছাড়াও যারা কোনো অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে চান তারা এই লিংকে ক্লিক করে আবেদন-পর্ব সেরে ফেলতে পারেন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার পর ভিসা হাতে পেলে সেই মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে ৯০ দিন।
আবদনের মাধ্যমে আপনি যে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসাটি হাতে পাবেন সেই ভিসাটি বের হবার ৯০ দিনের মধ্যেই আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। নতুবা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কারণে সেই দেশে ভ্রমণ করাটা ইলিগ্যাল হয়ে যাবে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম সাধারণ ২ ধরণের হয়ে থাকে। যারা নিজেরাই আবেদন করে ভিসা প্রসেসিং করে তাদের খরচের পরিমাণটা একটু কম আসে।
আর যারা এজেন্সির সাহায্যে ভিসা প্রসেসিং করায় খরচের পরিমাণটা আরেকটু বেশি হতে পারে। যাইহোক বর্তমানে মালয়েশিয়া টুরিস্ট। ভিসার দাম ৫০ ডলার অর্থ্যাৎ বাংলাদেশী টাকায় ৫০০০ টাকার মতো।
মালয়েশিয়া ভিসা এজেন্সির সাহায্যে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করানোর ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ বাড়তি হলেও ঝামেলা কম। এক্ষেত্রে বিশ্বস্ত মালয়েশিয়া ভিসা এজেন্সি হিসাবে নিউ এজ ইন্টারন্যাশনালের সাহায্য নিতে পারেন। বলে রাখা ভালো এর আরএল নাম্বার হলো ০৭০৩।
পাশাপাশি মেসার্স শাখ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, যার আরএল নাম্বার মূলত ১২৯৮ এবং মেসার্স আমিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি যার আরএল নাম্বার ১৩২৬ নামের এজেন্সিগুলির সাহায্য নিতে পারেন।
আশা করি উপরের টিপস এবং তথ্য মাথায় রেখে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করলে খুব দ্রুত ভিসা প্রসেসিং হয়ে যাবে। তাছাড়া মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণটাও অনেক কম। সবমিলিয়ে ভ্রমণের জন্য মালয়েশিয়া যেমন পার্ফেক্ট, ঠিক তেমনই আবেদন এবং খরচের দিক দিয়ে তা বেশ সাশ্রয়ীও বটে।