বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩

 

নেতৃত্ব, একাডেমিয়া, গবেষণা, উদ্যোক্তা এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে আগ্রহী স্টুডেন্টরা চাইলেই বিদেশে পিএইচডি করতে পারেন। চলুন বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতাসহ সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

 

বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা

বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা হিসাবে প্রথম পয়েন্ট হলো আপনার একাডেমিক রেজাল্টের ভালো একটি রূপ। চলুন বিস্তারিত জানি।

 

যুক্তরাজ্যেসহ অন্যান্য দেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা

ইউকেতে স্ট্যান্ডার্ড পিএইচডি করতে হলে আপনাকে একটি একটি স্নাতক ডিগ্রী নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় শ্রেণীর অনার্স ডিগ্রীর রেজাল্ট হিসাবে আপনার থাকতে হবে ২.১ এর উপরে জিপিএ। 

 

দেশটিতে পিএইচডি করতে গেলে অনেক সময় একটি মেরিট বা ডিস্টিনশন গ্রেড সহ একটি মাস্টার্স ডিগ্রির প্রয়োজনও হতে পারে। বলে রাখা ভালো সাধারণত, আর্টস এবং হিউম্যানিটিস রিলেটেড পিএইচডিগুলির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রির প্রয়োজন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

 

অন্যদিকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত (STEM) রিলেটেড পিএইচডিগুলির জন্য ভালো রেজাল্টের একটি স্নাতক ডিগ্রির প্রয়োজন হতে পারে। 

 

বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা (এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটি) 

এবার আসি এমনকিছু এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিসের ব্যাপারে…যেসব পয়েন্ট যেকোনো শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা হিসাবে পরিগণিত হবে। 

 

অ্যাটিপিক্যাল যোগ্যতা

অ্যাটিপিক্যাল যোগ্যতা বলতে সাধারণত বোঝানো হয়ে থাকে আন-অফিসিয়াল কোনো যোগ্যতা। 

 

যদি আপনি কোনো ধরণের অফিসিয়াল যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ না পান কিন্তু পিএইচডি করতে চান সেক্ষেত্রে এই অ্যাটিপিক্যাল যোগ্যতার বদৌলতেই আপনি পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন। 

 

যদিও আপনাকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেচনার উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। 

 

উপযুক্ততা

পিএইচডি করার যোগ্যতা হিসাবে আপনার ভবিষ্যতের উপযুক্ততাটুকুও বেশ ফ্যাক্ট করবে। মনে রাখবেন যেকোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র সেসব স্টুডেন্টদের ভর্তি করবে যারা বিশ্বাস করে যে পিএইচডিটি করে উচ্চ মানের রেজাল্ট অর্জনে সক্ষম হবে এবং তা সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন করবে। 

 

এমনকি সম্ভাব্য ডক্টরাল গবেষকদেরও অধ্যয়নের ক্ষেত্রে একটি প্রদর্শনযোগ্য আগ্রহ থাকতে হবে এবং তার ডকুমেন্টারি রূপ শো করতে হবে। 

 

প্রাসঙ্গিকতা 

বিদেশে পিএইচডি করার যোগ্যতা হিসাবে পিএইচডি শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সময় যে দেশের গবেষণাটি সম্পন্ন করতে চাচ্ছে সেই দেশের বাসিন্দা হতে হবে। 

 

সেই সাথে একটি প্রাসঙ্গিক ভিসাও থাকতে হবে। আর বাংলাদেশী আগ্রহী শিক্ষার্থী হিসাবে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যুক্তরাজ্যে পিএইচডি অধ্যয়নের জন্য আপনার কোনো একটি স্টুডেন্ট রুট ভিসা রয়েছে।

 

পিএইচডি করার খরচ কত? 

পিএইচডি করার খরচ কত হবে তা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি কোর্স করতে চাচ্ছেন তার উপর। 

 

তবে যদি এক কথায় বলি সেক্ষেত্রে বলবো পিএইচডির গড় মোট খরচ প্রতি বছর সাধারণত ৪০,৯০০ ডলারের মতো হয়ে থাকে। সেশন জট সহ বিভিন্ন কারণে এই কোর্স শেষ করতে সর্বোচ্চ হয়তো আপনার ৫ বছরের মতো লাগবে। 

 

পিএইচডি করে কি চাকরি করা যায়? 

আপনার যদি ভালো কোনো পিএইচডি রেজাল্ট থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ভবিষ্যতে একজন প্রফেশনাল গবেষক, বায়োকেমিস্ট এবং বায়োমেডিকাল বিজ্ঞানীও হতে পারেন। 

 

আপনি কি বা কোন সেক্টরে চাকরি করবেন তা মূলত নির্ভর করবে আপনি কোন সাবজেক্ট বা প্রজেক্ট গবেষণা করছেন এবং পিএইচডি করছেন। 

 

তবে বর্তমানে ম্যাক্সিমাম পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা বিজ্ঞান, ফার্মাসিউটিক্যালস এব স্বাস্থ্যসেবার মতো সেক্টরে কাজ করতে পছন্দ করছে এবং এসব সেক্টরের ভালো ভালো পজিশন বেছে নিচ্ছে। 

 

আমাদের দেশসহ বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী হিসাবে আপনি বিজ্ঞান, গণিত এবং ভৌত বিজ্ঞান সেক্টরেও বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করতে পারেন। 

 

এটি পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার লাক, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, ডিগ্রি টপিক এবং আপনার চাহিদা বা আগ্রহের উপর। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ