ইতালি স্পনসর ভিসাকে ইতালীয় শেনজেন ভিসা টাইপ সি নামেও অনেকেই চিনে থাকে। যা বরাদ্দ থাকে কেবলমাত্র নন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের জন্যে।
বলে রাখা ভালো এই ভিসার ক্যাটাগরির জন্য একজন স্পনসরের প্রয়োজন পড়ে। আর এই স্পন্সর হওয়ার ব্যাক্তিটিকে অবশ্যই ইতালির একজন আইনি বাসিন্দা বা নাগরিক হতে হবে।
পাশাপাশি উক্ত স্পনসর অবশ্যই আবেদনকারীকে আমন্ত্রণপত্র এবং অন্যান্য সহায়ক ডকুমেন্টস প্রদান করবে। যাইহোক! ইতালি স্পন্সর ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ইতালি স্পন্সর ভিসা মানে কি সে-সম্পর্কে নিশ্চয় ইতিমধ্যেই কিছু আইডিয়া পেয়েছেন। আর এই ধরণের ভিসার ব্যাপারে সকল আপডেট বজায় রাখে ইতালির শ্রম ও সামাজিক পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কতৃপক্ষ।
নির্মাণখাত অথবা সড়ক ও যোগাযোগ খাত এবং হোটেল রেস্তোরাঁতে কাজ করানোর জন্যই মূলত তারা এই ইতালি স্পন্সর ভিসার আন্ডারে কর্মী চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে।
শুরুতেই বলে রাখি আপনি কিন্তু ইতালি স্পন্সর ভিসার জন্য সরাসরি কোনো আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।
অন্যান্য দেশের যেকোনো ভিসার ক্ষেত্রে আগে যেমন কোনো এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারতেন এখন তেমনটা পারবেন না। কারণ ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদনের নিয়ম পুরোপুরি আলাদা। যেমন:
ইতালি স্পন্সর ভিসার আন্ডারে আপনি হোটেল-রেস্তোরাঁ, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে কাজ পেয়ে যাবেন। যদিও এই দেশে কৃষি কাজের জন্যই অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
তবে আপনার মালিকের যদি নিজস্ব কোনো বিজনেস না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আবেদন করার সুযোগ পাবেন না। তাছাড়া ইতালি স্পন্সর ভিসায় যেকোনো কাজ করতেই প্রয়োজন পড়বে আপনার ভাষা এবং কারিগরি দক্ষতা।
ইতালি স্পন্সর ভিসা সাধারণত ২ ধরণের হয়ে থাকে। একটি সিজনাল এবং অপরটি নন সিজনাল। সিজনাল ভিসার চাইতে সাধারণত নন সিজনাল ভিসার দাম বেশি।
যদি সিজনাল ভিসার দাম ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হয় সেক্ষেত্রে নন সিজনাল ভিসা দাম পড়বে সর্বোমোট ১১ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতো। আবার আপনি চাইলে মাত্র ৩ লক্ষ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায় স্টুডেন্ট ভিসার আন্ডারেও ইতালি ভিসা পেয়ে যাবেন।
ইতালি স্পন্সর ভিসা নিয়ে আমাদের দেশে বেশকিছু ভুল ধারণা আছে। বিশেষ করে দালালের খপ্পরে পড়ে ইতালি যাওয়ার বিষয়টি বেশ লক্ষণীয়। দালাল ছাড়াও মনে রাখবেন, ইতালিরা অনেক সময় মৌসুমি মুনাফা লাভের প্রত্যাশায় ইতালি স্পন্সর ভিসা কর্মী নিয়ে বসিয়ে রাখে।
ফলে ভিসার খরচ বছরেও উঠে না। সুতরাং ভালোভাবে খোঁজ-খবর না নিয়ে ইতালি স্পন্সর ভিসার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া যাবে না। আগে জীবন, পরে জীবিকা!
আর হ্যাঁ! ইতালি স্পন্সর ভিসায় বসবাসের অনুমতি নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে। যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে আগে থেকেই এ-ব্যাপারে মালিকের সাথে কথা বলে নিতে হবে।
পাশাপাশি এই ধরণের ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ার পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়ার যে টেন্ডেন্সি সেটিও বাদ দিতে হবে।