ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের তীব্র যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে সম্ভাব্য আলোচনা স্থগিত করেছে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকেও অবগত করেছে রিয়াদ। এ অবস্থায় ইসরায়েলের পরিবর্তে ইরানের সঙ্গেই সম্পর্ক জোরদারে মন দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রকেট হামলা শুরু করে গাজার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস। হামাসের পাল্টা হামলায় গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।
জানা যায়, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আলোচনা পিছিয়ে দিচ্ছে রিয়াদ। সৌদি আরব আপাতত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেবে না। যদি কখনো পুনরায় আলোচনা শুরু হয় সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের জন্য ইসরায়েলি ছাড়ের বিষয়টিকে বড় অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সৌদি আরবকে ইরানের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে প্রথমবারের মতো টেলিফোনে কথা বলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।