কানাডায় বর্তমানে বেশকিছু সমস্যার মধ্যে একটা বড়ো সমস্যা হলো হাউজিং সমস্যা। এটা এমন একটা সমস্যা যে বর্তমানে কেউ কানাডায় এসে এই হাউজিংটা afford করতে পারছেন না। বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট যারা আসছেন বর্তমানে তাদের জন্য এটা একটা nightmare অবস্থা। তাছাড়া রয়েছে চাকরির সংকট, দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি।
কানাডিয়ান সাংবাদিকরা বেশ কিছুদিন ধরে রেডিও-টিভিতে আলোচনা-সমালোচনা করছেন এসব নিয়ে। তারা একটা রেকর্ড বের করে আলোচনা করেন। তারা বলেন যে, গত এক বছরে কানাডায় যত হাজার জবের সুযোগ তৈরি হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ইমিগ্রান্ট ও ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এসেছে । ফলে স্বভাবতই হাউজিং সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। তাদের মতামত এদেশে অতিরিক্ত ইমিগ্রান্ট না আনাই ভালো।
আমি তো এই আলোচনা শোনার পর খুবই দুঃখিত হলাম। ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে এদেশের আসার সুযোগটা বন্ধ হয়ে গেলে তাহলে এদেশে আমাদের কমিউনিটি, মুসলিম কমিউনিটি বাড়বে না। এদেশে যত বেশি আমরা আমাদের দেশের, প্রতিবেশি দেশের মানুষ আনতে পারব তত বেশি আমরা শক্তিশালী হব।
আমি মনে করেছিলাম এত বেশি আলোচনা হচ্ছে এসব নিয়ে সরকার মনে হয় ঠিকই একটা পদক্ষেপ নেবেন ইমিগ্রেশন বন্ধ বা ইমিগ্রান্ট এদেশে না আনার ব্যাপারে।
কিন্তু সব সমালোচনার সঠিক জবাব দিয়ে নিজেদের অনড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন কানাডার Federal housing and immigration, refugees and citizenship minister Sean Fraser. CBC এর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘এই ফেডারেল গভার্মেন্ট ইমিগ্রান্ট আনা বন্ধ করবে না। যেভাবে বা যে পরিমাণ আনার পরিকল্পনা আছে সে পরিমাণেই আসার সুযোগ থাকবে। বরং কানাডায় যেসব সমস্যা আছে বিশেষ করে হাউজিং সেসব ব্যাপারে উন্নতি করার চেষ্টা করা হবে।’
আলহামদুলিল্লাহ মন্ত্রীর এমন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ও মন্তব্যে অনেকটা শান্তি হয়েছে। তবে একটা কথা সবাই একই সুরে বলছেন কিন্তু । সেটা হলো এই ফেডারেল গভার্মেন্ট বা ট্রুডো সরকার যত দিন থাকবে ততদিনই এইসব ইমিগ্রান্ট আসার সুযোগ থাকবে। অন্য দলের নতুন সরকার আসলে ইমিগ্রেশন অনেকটাই লক হয়ে যাবে বলে অনেক অভিজ্ঞ মানুষ আমার সঙ্গে মন্তব্য করেছেন।
সুতরাং আপনারা যারা আসতে চান যেকোনো ভিসায় আপনাদের আবেদনের সময় 2025 এর মধ্যে। কারণ ট্রুডোর তৃতীয় দফায় দেশ চালানোর মেয়াদ 2025 সাল পর্যন্তই আছে। পরের ভোটে তিনি যদি আর না জিততে পারেন তখন অন্য দল এতটা উদার হবে কিনা বলা মুশকিল।
লিখেছেন- কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।