অন্যান্য দেশ থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে ভিসা নীতি আরও কঠোর করলো অস্ট্রেলিয়া। এখন থেকে দেশটিতে পড়তে যাওয়া বিদেশী শিক্ষার্থীরা আর ‘দ্বৈত অধ্যয়ন’ ভিসা পাবেন না। ফলে মূল কোর্স চলাকালীন অন্য কোনো কোর্সে ভর্তির সুযোগ আর রইলো না।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বৈত অধ্যয়ন নীতি বন্ধে অতিদ্রুত ও কার্যকরভাবে কঠোর আইন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
মূলত অস্ট্রেলিয়ায় এতদিন মূল কোর্সের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি বৃত্তিমূলক কোর্সে ভর্তির সুযোগ পেতেন বিদেশী শিক্ষার্থীরা। একে বলা হয় ‘কনকারেন্ট স্টাডি’ বা সমসাময়িক অধ্যয়ন। স্বল্প সময় ও খরচে এসব কোর্স সম্পন্ন করে চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীদের সহজেই প্রবেশের জন্য এ নীতি প্রণয়ন করেছিল দেশটির সরকার।
কিন্তু দেশটির সরকার জানিয়েছে যে সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গেছে যে বেশীরভাগ বিদেশী শিক্ষার্থী এই নিয়মের অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কোর্স বন্ধ করে স্থায়ীভাবে এসব কনকারেন্ট স্টাডি’ বা সস্তা কোর্সে চলে যাচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে মূল শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি বৃত্তিমূলক কোর্সে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী, যা ২০১৯ ও ২০২২ সালের একই সময়ে সম্মিলিতভাবে ছিল সাড়ে ১০ হাজার। এতে চলতি বছরের প্রথমার্ধেই বেড়েছে সাড়ে ছয় হাজার।
এ ছাড়া আগামী অক্টোবর থেকে ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ পেতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যে সঞ্চয় প্রয়োজন হয়, তার পরিমাণও বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অক্টোবর থেকে সঞ্চয় বর্তমান পরিমাণের ১৭ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
এ নীতি কার্যকর হলে বিদেশী শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে ১৫ হাজার ৬৯৩ মার্কিন ডলার পরিমাণ সঞ্চয় থাকতে হবে। জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি