ভাগ্যকে আরো কিছুটা উন্নত করতে অনেকেই প্রবাস জীবনকে বেছে নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিদেশে গিয়েই কি কেবল গাঁধার মতো খাটবেন নাকি দিনকে দিন নিজেকে উন্নত করে জীবনের মোড় ঘুরাবেন সেই সিদ্ধান্ত ঠিক আপনার উপর নির্ভর করে। আপনার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকে আরো কিছুটা সহজ করতে আজ আমি আলোচনা করবো সৌদি আরবে কোন ভিসা ভালো এবং কোন ভিসা নিয়ে কাজ করলে ভালো হবে সে-সম্পর্কে।
সৌদি আরবে কোন ভিসা ভালো…এই প্রশ্নের প্রথম উত্তরে আমি বলবো সৌদি আরবের কাজের ভিসার কথা। নিজের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কাজ/চাকরির উদ্দেশ্যে যারা সৌদি আরবে যেতে চান তারা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন।
হজ্বের ভিসা কিংবা অন্যকোনো ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে না চাইলে আরব কাজের ভিসা নেওয়াটা বেশ জরুরি। সুতরাং সৌদি আরব থেকে কাজের ভিসা সংগ্রহ করে আজই পাড়ি জমান প্রিয় দেশটিতে।
সৌদি আরবে ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে আরবের টুরিষ্ট ভিসা কিনে নিতে পারেন। সৌদি আরব এর বিভিন্ন স্থান ভ্রমন করতে এই ভিসার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে মনে রাখবেন মক্কা ও মদিনা তে প্রবেশ করতে হলে আপনার একইসাথে আরবের টুরিস্ট ভিসা থাকতে হবে এবং মুসলিম হতে হবে। কারণ ভিন্ন ধর্মের কোনো ব্যাক্তি মক্কা এবং মদিনাতে টুরিস্ট ভিসা থাকলেও ভ্রমণ করতে পারে না।
আমেল মঞ্জিল ভিসা যাদের রিনিউ/ ইকামা খরচ হিসাবে ১,২০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে তারা সৌদি আরবের আমেল মঞ্জিল ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে পারেন। এই ভিসায় যারা সৌদি আরবে যাবেন যারা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে করার মতো কাজ পাবেন। যারা এই ধরণেন ঘরোয়া কাজ ভাগ্য ঘুরাতে চান তারা মাসিক বেতন হিসাবে ১,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১,৫০০ রিয়াল পাবেন।
যাদের রিনিউ/ ইকামা খরচ হিসাবে ১,২০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে তারা সৌদি আরবের আমেল মঞ্জিল ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে পারেন। এই ভিসায় যারা সৌদি আরবে যাবেন যারা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে করার মতো কাজ পাবেন। যারা এই ধরণেন ঘরোয়া কাজ ভাগ্য ঘুরাতে চান তারা মাসিক বেতন হিসাবে ১,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১,৫০০ রিয়াল পাবেন।
সৌদি আরবে কোন ভিসা ভালো…এই প্রশ্নের কিন্তু স্কিলেরও একটা ব্যাপার থাকে। কারণ আপনার যে স্কিলটা পারফেক্ট আছে সেই স্কিলের উপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ করতে হবে এবং ভিসা নিতে হবে।
যারা গাড়ি চালাতে জানেন কিংবা দেশেই কোনো ফ্যামিলির পার্সোনাল ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেছেন তারা এই ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যেতে পারেন।
এই ভিসার আন্ডারে কাজ হিসাবে আপনাকে কোনো একটি ফ্যামিলির পার্সোনাল ড্রাইভার হতে হবে। এই টাইপের ভিসায় ৩-৩.৫ লক্ষ টাকা খরচ হলেও মাসিক ভিত্তিতে ইজিলি ১,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১,৫০০ রিয়াল আয় করতে পারবেন।
যারা সৌদি আরবে বাগানে বা কৃষি কাজে নিয়োগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তারা আরবের মাজরার ভিসা গ্রহণ করে সৌদি আরবে যেতে পারেন। বলে রাখা ভালো এই ভিসা পেতে হলে আপনাকে ৩-৪ লক্ষ টাকা গুনতে হবে। আর যারা বেতনের কথা ভাবছেন তাদের বলে রাখা ভালো বাগানের কাজে সাধারনত ১,০০০-১,৫০০ রিয়াল বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।
প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা মাসিক উপার্জন করতে চাইলে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা নিতে পারেন।
যাদের কোনো স্কিল নেই তারা দেশটিতে লেবার বা অন্যান্য পরিশ্রমের ও নিম্ন বেতনের কাজে যোগ দিতে পারব…
ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে গেলে অদক্ষ হিসাবে তাদের বেতন হবে মাত্র ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
কোম্পানি ভিসায় নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির আন্ডারে কাজ করতে হলে ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
আশা করি সৌদি আরবে কোন ভিসা ভালো সে-সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনি চাইলে উপরোক্ত যেকোনো ভিসা নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে সবসময় নিজেকে কেবল একটি স্কিলে আবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন স্কিল অর্জনের দিকে ধাবিত করুন। ব্যবসা শিখুন, কাজ শিখুন। আশা করি সফল হবেন।