শনিবার (১৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সাড়ে ৮টায় সাউথ আফ্রিকার পর্যটন নগরীর কেপটাউনে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪০ মিনিট পর স্থানীয়রা রবিউলের সহকর্মীদের খবর দিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।
এদিকে ছেলের এমন খবরে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন মা। আর স্বামীর এমন অবস্থার কথা জানার পর নির্বাক স্ত্রী রুবি আক্তার।
আহত রবিউলের ভাই রমজান আলী জানান, তার ভাইয়ের আশ্রয়ে থাকা সুজন (৩৮) নামে এক যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। ঘাতক সুজনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা নেকমরদ ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
রবিউলের স্ত্রী রুবি আক্তারের অভিযোগ, ৪ বছর আগে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে বিদেশে যান রবিউল। শুরুতে দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করলেও এখন নিজেই গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
কয়েকদিন আগে ওই দেশে গিয়ে বিপাকে পড়েন প্রতিবেশী সুজন নামে ওই যুবক। সুজনের বাবা মোবাইল ফোনে রবিউলকে অনুরোধ করলে সুজনকে নিজের কাছে এনে ঠাঁই দেন রবিউল। স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দেয়া হয় সুজনকে।
তবে সুজন নিয়মিত কাজ না করে সেখানে ফাঁকি দিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে সুজনের বাবাকে অবগত করেন রবিউল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলকে হত্যাচেষ্টা চালায় সুজন।
রবিউলের সঙ্গে থাকা আরেক প্রবাসী রিপন মোবাইল ফোনে জানান, সাউথ আফ্রিকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল। সেখানে গতকাল রাতে তার জটিল অপারশেন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে রবিউলকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি এবং দেশে পরিবারের সঙ্গে কথা হয়নি রবিউলের।