আমি আসলে খুব ব্যস্ত থাকি। তাই মেসেঞ্জারে অনেকের মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারি না। এজন্য দুঃখিত। যাক, আপনাদের জন্য আজকের এই লেখাটি। পড়ার অনুরোধ রইল।
প্রথম কথা হলো, আপনাদের যদি তিন-চারটি দেশ ভ্রমণ করা থাকে এবং আপনি যদি অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হন তাহলে একবার কানাডিয়ান ভিজিট ভিসার জন্য এপ্লিকেশন করে দেখতে পারেন! লাগলে বাড়ি বাউন্ডারি! লেগে যেতেও পারে! ইদানিং মাঝেমাঝে শোনি একদুই জন কানাডার ভিজিট ভিসা পাচ্ছে।
এও বলে রাখি, কানাডার ভিজিট ভিসা পাচ্ছে বলে যে সবাই ভিসা পাচ্ছে এমন নয়। ইউরোপ আমেরিকার অ্যম্বেসিতে প্রতিদিন শোশো মানুষ কাগজপত্র জমা দেয়। এদের মধ্য কিছু কিছু দেশ কোন কোন সময় কিছু ভিসা ইস্যু করে।
এই ভিজিট ভিসা ইস্যুর পরোক্ষ অর্থ হলো প্রত্যেকটি অ্যাম্বেসির একটি বড় আয়ের উৎস অর্থাৎ ব্যবসা। প্রত্যেকটি দেশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভিসা ফির মাধ্যমে তাদের অ্যাম্বেসির পুরো বছরের খরছপত্রের সিংহভাগ টাকাই উপার্জন করে। এটা আমরা অনেকেই জানি না।
ইদানিং অনেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, কেউ কেউ ইউরোপ এবং আমেরিকা ভ্রমণ শেষে কানাডিয়ান অ্যাম্বেসিতে ভিজিট ভিসার এপ্লিকেশন জমা দিচ্ছে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে পজিটিভ রেজাল্টও আসছে। আবার অনেকে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণের পর কানাডিয়ান অ্যাম্বেসি থেকে ভিজিট ভিসা রিফিউজডও হচ্ছে এমন খবরও আছে।
কিন্তু একটি কথা বলতেই হচ্ছে যে কেউ কেউ রিজিকের কারনে সিম্পল দুচারটি দেশ ভ্রমণের পর কানাডিয়ান অ্যাম্বেসি থেকে ভিজিট ভিসা পেয়ে যাচ্ছে এমন উদাহরণও আছে। সবকিছুই মহান স্রষ্টার লীলাখেলা! আপনি একবার চেষ্টা করে দেখুন না আপনার ভাগ্যে কি ঘটে?
কানাডিয়ান ভিজিট ভিসা পাবার জন্য আপনাকে কি করতে হবে?
যারা ভাগ্য যাচাই করতে চান তারা কোন দালালের সাহায্য না নিয়ে যে বা যারা বিভিন্ন দেশের ভিজিট ভিসা ফর্ম ফিলাপ করে দুচার হাজার টাকা খরছ করে তাদের মাধ্যমে সঠিক ভাবে, নির্ভুল ভাবে ফর্মগুলো ফিলাপ করে নিকটস্থ কানাডিয়ান অ্যাম্বেসির প্রতিনিধি অফিসে গিয়ে নিজ হাতে কাগজগুলো জমা দিন।
এরপর কি ঘটবে? কানাডিয়ান অ্যাম্বেসি আপনার এপ্লিকেশন রিসিভ করার পর ওরা আপনার সাথে ইমেইল অথবা ফোনে যোগাযোগ করে পরবর্তী করনীয় ও ফর্মালিটি সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ যোগাযোগ করবে। এরপর দেখুন ভিসা পাবার ক্ষেত্রে আপনার ভাগ্য আপনার প্রতি কতটুকু সুপ্রসন্ন হয়!
সূত্র Mohammed Shaikul Islam