যারা কম খরচে বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের এই লেখাটি। ভারতের পাশেই অবস্থিত এই দেশটিতে ট্যুর প্লেসের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। বিশেষত পাহাড়ি এলাকা ও প্রাচীন শহর যারা উপভোগ করতে চান তাদের জন্য পাকিস্তান হতে পারে বেস্ট চয়েস। আসুন এ ব্যাপারে একটি গাইডলাইন চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ পাকিস্তান! প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য কি নেই এই দেশে! যার কারণে বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণ হতে পারে এ্যাডভাঞ্চার্সে ভরপুর। কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও এক্সাইটম্যান্টের কিন্তু কমতি হবে না এই ট্যুরে!
শুরুতে চলুন কম খরচে বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা যাক। পাকিস্তান ভ্রমণের জন্য প্রথমেই যেসব প্রস্তুতি প্রয়োজন সেসব প্রস্তুতি হলো:
বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণের প্রথম ধাপ হলো ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পার করা। বলে রাখা ভালো এখানে নানা ধরনের সিকিউরিটি চেকপোস্ট এবং কাস্টমস চেকিং আপনাকে ফেইস করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রথম বর্ডার পয়েন্ট হবে আটারী-ওয়াঘা সীমান্ত। এই জনপ্রিয় সীমান্ত ক্রসিংয়ে আপনি ইজিলি ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সেনাদের মার্শাল আর্লি শো দেখতে পাবেন।
প্রথম বর্ডার পার করার পর আপনার প্রথম স্টপ হবে পাকিস্তানের লাহোর শহর। প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক প্লেইস হিসাবে এখানেও আপনি ঘুরতে পারেন। যেখানে লাহোর ফোর্ট, শাহী মসজিদ, গৌতম সিংহ মিউজিয়াম এবং বিখ্যাত বদশাহী মসজিদ দেখার সুযোগ পাবেন। এই মসজিদ কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। সো মিস করা যাবে না।
এছাড়াও একই শহরে দেখা মিলবে ডামন-ই-করিশ বা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত পার্ক। সাথে রয়েছে পাকিস্তান মিউজিয়াম এবং মারগাল্লা হিলস ন্যাশনাল পার্ক পরিদর্শন করার সুযোগ। যা আপনার ভ্রমণকে আরো স্মরণীয় করে তুলবে।
মনে রাখবেন পাকিস্তানের পাহাড়ি এলাকাগুলো দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। বিশেষ করে মুর্রী ও নাথিয়া গলি। বাই রোডে ভ্রমণের জন্য একদম উপযুক্ত এসব প্লেইস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা।
বলে রাখা ভালো মুর্রী, ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর এখানে উপভোগ করতে পারবেন অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য, পাহাড়ি ঝরনা, ঘন বন এবং হিমবাহের সৌন্দর্য, তাও একেবারে ফ্রিতে।
বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণে উপভোগ করতে পারেন কাশ্মীর ভ্যালি। বিশেষ করে পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চল! যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন অদ্ভুত সুন্দর কাশ্মীর ভ্যালি। সমভূমি, পাহাড় এবং গিরি পর্বতের মধ্যে অবস্থিত এই প্লেইসটি অসম্ভব সুন্দর।
বিশেষত নাঞ্জানগী পাস এবং ফোর্কাঁজি লেক এর মতো অঞ্চল কোনোভাবেই মিস করবেন না। এরপর স্যাচুয়েশন অব লাহোর থেকে কোয়েটা ঘুরে আসতে পারেন। এখানকার হরবাল মিউজিয়াম এবং কোয়েটা ফোর্ট আপনার মন ভালো করে দেবে।
বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণের জন্য কিছু প্যাকিং টিপস হলো:
বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণে খরচ হিসাবে অত বেশি খরচ হবে না। ভিসার খরচ ৩০০০-১০০০০ টাকা বাজেট করতে পারেন। ভিসার ধরন এবং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে এই খরচের কমবেশি হতে পারে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাসপোর্ট চেকিং, কাস্টমস, ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে লাগবে প্রায় ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।
এরপর ভারত থেকে পাকিস্তান পৌঁছানোর জন্য লাগবে ৫০০-১৫০০ টাকার মতো। সবশেষে হোটেলের পেছনে লাগতে পারে ১৫০০-৪০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০-২০,০০০ টাকা পর্যন্ত।