কানাডায় পড়াশোনা কিংবা জব করতে চান? বুঝতে পারছেন না কিভাবে আবেদন করতে হবে? আজকাল বেশিনভাগ আবেদনকারীই বেশিরভাগ মানুষই ভিসার জন্য দালাল বা এজেন্টের উপর নির্ভর করে থাকে। তবে, সঠিক নির্দেশনা এবং স্টেপ জানা থাকলে এই কাজ নিজে নিজে ঘরে বসেও করা সম্ভব। আর তা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের এই লেখাটি। পুরোটা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন৷
শুরুতেই বলে রাখি কানাডার বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে হবে। কানাডার ভিসার মূলত তিনটি প্রধান ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন:
কানাডা ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে এসে আপনাকে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি IRCC ওয়েবসাইটে চলে যান। এই Immigration, Refugees and Citizenship Canada (IRCC) সাইটে আপনি বিভিন্ন ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে ব্রাউজারে IRCC ওয়েবসাইট সার্চ করলেই হবে।
৩. GCKey একাউন্ট তৈরি করুন
কানাডার ভিসার আবেদন করতে GCKey নামে ওয়েবসাইটে আপনাকে একটি একাউন্ট করতে হবে। মূলত একাউন্টের মাধ্যমেই আপনি আপনার আবেদন প্রক্রিয়া ট্র্যাক করতে পারবেন। মনে রাখবেন এই GCKey একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনাকে নিজের নাম, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোশ্চেন সঠিকভাবে দিতে হবে।
৪. ভিসার জন্য আবেদন করুন
GCKey সাইটে আপনি যে একাউন্ট খুলেছেন সে একাউন্টে এখন আপনাকে লগইন করতে হবে। একাউন্ট লগইন করার পর, Start an application এ ক্লিক করুন এবং Apply to Come to Canada সিলেক্ট করুন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ভিসা টাইপ সিলেক্ট করে নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ দিন। পাশাপাশি পাসপোর্ট ডিটেইলস, আপনার শিক্ষা ও চাকরির তথ্য, ট্যুরের উদ্দেশ্য এবং প্ল্যানিংও দিতে হবে। মনে রাখবেন আবেদনপত্রে ভুল তথ্য দিলে কিন্তু আপনার ভিসা রিজেক্ট হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
৫. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন
কানাডা ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে এবারে আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে লাগবে:
এসমস্ত ডকুমেন্ট আপনাকে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। PDF ফরম্যাটে আপলোড না করলে কিন্তু হবে না। পাশাপাশি ডকুমেন্টস ফাইলের নামও পরিষ্কার থাকতে হবে।
৬. ভিসা ফি জমা দিন
কানাডা ভিসা আবেদন করার অংশ হিসাবে এবার আপনাকে ভিসা ফি দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভিসা ফি লাগবে $100 CAD এবং বায়োমেট্রিক ফি লাগবে $85 CAD। মোট লাগবে $185 CAD। যদি আপনি নিজেই অনলাইনে কানাডান ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন পে করতে হবে। পেমেন্ট সফল হলে একটি রিসিপ্ট পেয়ে যাবেন ইমেইলে। আপনাকে সেটি সেইভ করে প্রিন্ট করিয়ে নিতে হবে।
৭. বায়োমেট্রিকস প্রসেস
পেমেন্ট সফল হওয়ার পর, আপনি বায়োমেট্রিক রিকোয়েস্ট লেটার পাবেন। বায়োমেট্রিক দেয়ার জন্য VFS গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন। বাংলাদেশে VFS গ্লোবাল অফিসে কিন্তু এখন অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার সুবিধা আছে। এরপর নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট ও বায়োমেট্রিক রিকোয়েস্ট লেটার নিয়ে যান। তারা মূলত আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি চাইবে। সো ঠিকঠাকভাবে কোপারেট করবেন।
৮. ভিসা অনুমোদন ও পাসপোর্ট জমা
কানাডার ভিসা আবেদন করার পর আপনাকে রেজাল্ট চেক করতে হবে। আবেদন প্রসেসের অবস্থা জানতে আপনার GCKey একাউন্টে লগইন করলেই হবে। তাছাড়া যেহেতু ভিসা অনুমোদন হলে Passport Request Letter ইমেইলে পাঠানো হবে সেহেতু চিন্তারও কোনো কারণ নেই। ইমেইল নিয়মিত চেক করলেই হবে।
এরপর আপনাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। VFS গ্লোবাল অফিসে পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন দিলেই তারা আপনাকে ২ সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট ফেরত দিবে।
আশা করি উপরোক্ত টিপসগুলি ফলো করে আপনিও ইজিলি ঘরে বসে দালাল ছাড়াই কানাডা ভিসা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর যদি রিজেক্টও হোন, ঘাবড়াবেন না। কারণ এরপরও পুনরায় আবেদনের সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে রিজেকশনের কারণ চিহ্নিত করে নতুন করে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। তবে হ্যাঁ! বায়োমেট্রিক আগেরটাই প্রযোজ্য। নতুন করে আর দিতে হবে না।