নিজের মাকে স্বামীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন মেয়ে। তা নিয়ে প্রতিবাদ করতেই মেয়েকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন সেই মহিলা। সেই ঘটনার কথা গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই দল বেঁধে লোকজন চলে আসে সেখানে। এরপর শাশুড়ি ও জামাইকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয় জনতা।
সব শেষে তাদেরকে গ্রাম ছাড়া করে সামাজিকভাবে বয়কট করার ডাক দিয়ে গণস্বাক্ষর করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বরা হয়, বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত মহিষ্টিকারী কলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার (৪২) সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ২৮ বছরের ওই যুবকের। দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে দু’জনের এই সম্পর্ক চলছিল। ইতিমধ্যে তারা তিনবার দিঘাতেও কাটিয়ে এসেছেন। অভিযোগ, সেই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতেই পরিকল্পনা করে সেই যুবকের সঙ্গে নিজের ২১ বছরের মেয়ের বিয়ে দেয় অভিযুক্ত মহিলা।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আগেও একবার মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল ওই মহিলা। কিন্তু সেই জামাইয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙে দেয় মা। ছয়মাস আগে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে আবার মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করে সে। এরপর শাশুড়ি-জামাইয়ের মধ্যে নিশ্চিন্তে চলতে থাকে প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক।
রবিবার সকালে মেয়ে হঠাৎই মায়ের সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। তারপর তিনিই গ্রামবাসীদের খবর দেন। সবাই এসে শাশুড়ি জামাইকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। পাশাপাশি দু’জনকে সামাজিক বয়কটের জন্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকেও গণস্বাক্ষর করা হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া থানার পুলিশ। তারাই জামাই ও শাশুড়িকে উদ্ধার করে হাড়োয়া থানায় আসে।